প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩ ১৮:১১ পিএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩ ১৮:১৯ পিএম
শিক্ষার্থীদের স্কোর কমে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ লকডাউনকেই দায়ী মনে করছেন গবেষকরা। ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশিত সরকারি নথির তথ্যানুসারে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা
একাডেমিক বিষয়গুলোর মধ্যে গণিতে ভালো করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। মহামারির প্রেক্ষিতে
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে এ সংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে।
দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অব এডুকেশনাল প্রোগ্রেস (এনএইপি) প্রকল্পের
অধীনে ১৯৬৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক পরীক্ষার স্কোর মূল্যায়ন হয়ে আসছে। এতে দেখা
গেছে ২০১৯ সালের শেষ দিকের তুলনায় ২০২২ সালের শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের গণিতের
স্কোর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এবং এটি পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে থাকা সকল বোর্ডেই এমনটা হয়েছে। এমনকি
১৯৯০ সালের পর থেকে এই স্কোর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌছেছে।
আর ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ১৯৬৯ সালে এনএইপি মূল্যায়ন
শুরুর পর সর্বনিম্ন স্কোরে গিয়ে ঠেকেছে।
শুধু গণিতের দূর্বলতাই নয়, বাৎসরিক মূল্যায়ন বলছে, শিক্ষার্থীদের
স্কুলে অনুপস্থিতির হারও বেড়েছে। সবশেষ মূল্যায়নে দেখা গেছে পাঁচ বা তারও বেশিদিন স্কুল
কামানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। গবেষকরা এর জন্য করোনাভাইরাস মহামারির
কারণে দেওয়া লকডাউনকেই দায়ী মনে করছেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের
ঘরে বসে ক্লাস করতে হয়। সেখান থেকেই সরাসরি ক্লাসে অনীহা জন্ম নিয়েছে শিক্ষার্থীদের,
এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। আর এর প্রভাব বেশি পড়েছে নিম্ন আয়ের পরিবার ও
জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুদের মধ্যে।
তবে এই মহামারী কেবল যে শিক্ষার ফলেই প্রভাব ফেলেছে তাই নয়, শিক্ষার্থীদের
মানসিক স্বাস্থ্যেও বড়ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট গভর্নিং বোর্ডের চেয়ার বেভারলি পারডু বলেছেন,
‘এই পরিস্থিতি
কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক ও পরিবারগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে।’
সূত্র : সায়েন্স অ্যালার্ট