প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১১ পিএম
শিল্পীর তুলিতে গ্রহাণুকে আঘাত হানার পথে ডার্ট মহাকাশ যান। ছবি : নাসা
মহাশূন্যে
ভেসে বেড়ানো গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় প্রথম অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময়
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থার (নাসা) তৈরি একটি ছোট মহাকাশযান ডিমোরফোস নামে একটি গ্রহাণুতে বিধ্বস্ত হয়। সংস্থাটির
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভাব্য আঘাতকারী গ্রহাণুগুলোর গতিপথ বদলে দেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণিত হলো।
নাসার
অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। তারা এই
অভিযানে মহাকাশযানটির নাম দিয়েছিলেন ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডার্ট)।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম দি ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৪ হাজার মাইল বেগে গ্রহাণুটিতে আঘাত করার জন্য ডার্ট মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছিল।
ডিমোরফস
নামের গ্রহাণুটির আকার প্রায় একটি স্টেডিয়ামের বা মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিডের সমান। সোমবার নাসার
একজন বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ডিমোরফস গ্রহাণুটি এই মুহূর্তে পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০ লাখ মাইল দূরে রয়েছে। এটি ডিডিমস
নামের আরও একটি বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই দুটি
গ্রহাণু এখন বা অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়। তবে
গ্রহাণুর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষার জন্যই নাসা এই অভিযানটি চালিয়েছে।
গত
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ডার্টকে মহাকাশে পাঠায় নাসা। এর আকার
একটি ছিল ভেন্ডিং মেশিনের সমান। এর আঘাতে ডিমোরফস গ্রহাণুর
আকৃতির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
নাসার বিজ্ঞানীরা
বলছেন, কোনো গ্রহাণুর গতির
ওপর ছোট প্রভাবও পৃথিবীকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। সম্ভাব্য
সংঘর্ষের পাঁচ থেকে ১০ বছর আগেই গ্রহাণুটির গতি ধীর করে দিলে পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা
কমে যাবে।
সূর্যের চারপাশে হাজার হাজার সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু রয়েছে যেগুলো পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি আসে বা অতিক্রম করে। বর্তমানে কোনোটিই পৃথিবীতে আঘাত হানার পথে নেই বলে জানিয়েছে নাসা।