প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩ ২১:৩৭ পিএম
মহাকাশ স্টেশনে ফোটা জিনিয়া ফুল। ছবি : ইনস্টাগ্রাম/নাসা
মঙ্গলের মতো ভবিষ্যতের দীর্ঘ দূরত্বের মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে পৃথিবীর বাইরেই নিজস্ব কিছু খাদ্য চাষের জ্ঞান মানুষকে আয়ত্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে মহাকাশে গাছপালা কীভাবে বৃদ্ধি পায়, তা বুঝতে পারা একেবারে অপরিহার্য। এ কারণেই ২০১৫ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ফুলের বীজ লাগানো শুরু করে।
নাসার নভোচারী জিল লিন্ডগার্ন জিনিয়া ফুলের বীজ থেকে প্রথম শিকড় গজাতে সক্ষম হন। তারই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় নিজেদের গবেষণার অগ্রগতি দেখাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে জিনিয়া উদ্ভিদের ফোটা ফুলের ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছে নাসা। যেখানে মহাকাশ ও ফুল এক ফ্রেমেই ফুটে উঠেছে। সৌন্দর্য ও মানব প্রজাতির বৈজ্ঞানিক সামর্থ্য যেন একসঙ্গে ধরা পড়েছে।
ছবির ক্যাপশনে নাসা লিখেছে, ‘এই জিনিয়া উদ্ভিদটি কক্ষপথে বিচরণকারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভেজি ফ্যাসেলিটিজে জন্ম নিয়েছে। বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সাল থেকে মহাকাশে উদ্ভিদ নিয়ে অধ্যয়ন করছেন। তবে এ গবেষণা মহাকাশচারী কেজেল কেজেল লিন্ডগ্রেন আইএসএস-এ শুরু করেছিলেন।’
এ গবেষণার গুরুত্ব সম্পর্কে নাসা লিখেছে, ‘আমাদের মহাকাশ বাগান শুধু লোক দেখানোর জন্য নয়। কক্ষপথে গাছপালা কীভাবে বিকাশ লাভ করে, তা শেখা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে—কীভাবে পৃথিবীর বাইরে ফসল উৎপন্ন করা যায়। যার মাধ্যমে চাঁদ, মঙ্গল ও তার বাইরে দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ মিশনে তাজা খাবারের মূল্যবান উৎস প্রদান করা যায়।’
তবে মহাকাশে ফসল ফলানো নাসার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও সংস্থাটির মহাকাশচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে লেটুস, টমেটো ও চিলির গাছ চাষ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের জন্য আরও বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নাসার এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এখন পর্যন্ত লাইক পড়েছে ৫ লাখেরও বেশি ও মন্তব্য পড়েছে ১ হাজার ৬০০-এরও বেশি। অনেক মহাকাশপ্রেমী ও বিজ্ঞানুরাগীকেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে। একজন লিখেছেন, এই ছবিতে নাসা দুটি বিশেষ জিনিস একত্রিত করেছে, তা হলো ফুল ও মহাকাশ। আরেকজন এটিকে অবিশ্বাস্য ও সুন্দর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সূত্র : এনডিটিভি