প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৬:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৭:২০ পিএম
বিশ্বজুড়ে তিনটি বিশাল টেলিস্কোপ ওই বিশেষ বার্তা ধারণ করেছে। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথম মঙ্গল গ্রহ থেকে সাংকেতিক বার্তা উড়ে এলো পৃথিবীতে !
মঙ্গল থেকে কে বা কারা এই বার্তা পাঠাল, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে। মহাকাশের যে জায়গাগুলো সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মনে মোটামুটি একটি ধারণা রয়েছে, তার মধ্যে মঙ্গল অন্যতম।
ইতোমধ্যেই ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে অভিযানের প্রস্তুতিও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তার মধ্যেই মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে এলো এই সাংকেতিক বার্তা।
তবে এই সাংকেতিক বার্তা কোনো ভিনগ্রহের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়নি। বরং, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ওই পরীক্ষামূলক বার্তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
ইএসএ এই বার্তা পাঠাতে বিশেষ ‘এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার’ ব্যবহার করেছে। বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে বার বার জানানো হয়েছে, মঙ্গলের আবহাওয়া এবং পরিবেশ মানুষের বসবাসের উপযুক্ত নয়।
এখনও পর্যন্ত সে গ্রহে প্রাণের কোনো চিহ্ন মেলেনি। তবে ভবিষ্যতে যদি মঙ্গল থেকে কোনো সাংকেতিক বার্তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তা হলে তা কেমন হবে তা পরীক্ষা করে দেখতেই পরোক্ষভাবে এই সাংকেতিক বার্তাটি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন ইএসএ’র বিজ্ঞানীরা।
গত ২৪ মে রাত ৯টার দিকে ওই বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ইএসএ’র বিজ্ঞানী ড্যানিয়েলা ডি পাওলিস বলেন, ‘মানব সভ্যতার প্রথম থেকেই মানুষ শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর অর্থ অনুসন্ধান করে আসছে ৷ বহির্বিশ্ব থেকে সাংকেতিক বার্তা পাওয়াও সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে।’
ইএসএ মহাকাশযান অক্টোবর ২০১৬ থেকে মঙ্গল গ্রহ প্রদক্ষিণ করে সম্ভাব্য জৈবিক বা ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপের প্রমাণ খুঁজছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল