প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৩ ১৮:০২ পিএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকেও মানবতার হুমকি হিসেবে বিবেচনা করতে বলছেন এ-সংশ্লিষ্ট গবেষকরাই। ছবি : সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) প্রজাতি হিসেবে মানুষকে বিলুপ্তির
দিকে নিয়ে যেতে পারে। এমন শঙ্কা বহুদিন ধরেই বলে আসছেন এআই-সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। এবার
সেই তালিকায় যুক্ত হলেন চ্যাটজিপিটির নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান।
তিনি ছাড়াও এ শঙ্কা প্রকাশ করার তালিকায় রয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নিয়ে কাজ করা অ্যালফাবেটের প্রকল্প গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান শ্যাং লেগ ও প্রধান বৈজ্ঞানিক
কর্মকর্তা ইয়ান গুডফিলো, মাইক্রোসফটের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কেভিন স্কট ও প্রধান
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এরিক হরভিটজ। এ ছাড়া এ তালিকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ছাড়াও রয়েছেন
প্রযুক্তি, দর্শন, পরমাণু ও চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ের বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ের বিখ্যাত অনেক শিক্ষক।
মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘সেন্টার ফর এআই সেফটি’-এর এক বিবৃতিতে তারা স্বাক্ষর করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, মানুষের বিলুপ্তির ক্ষেত্রে মহামারি ও পারমাণবিক যুদ্ধের মতো ঝুঁকিগুলোর সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকিকেও বিবেচনায় এনে এ-সংক্রান্ত ঝুঁকি কমিয়ে আনা—বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
এর আগে চলতি মাসেই কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার আসন্ন ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে টেক জায়ান্ট গুগলে নিজের অবস্থান ছেড়ে
দিয়েছেন ‘এআই’ গডফাদার হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ কানাডীয় কগনেটিভ মনোবিজ্ঞানী ও
কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন। তিনি গুগলের সঙ্গে এক দশক ধরে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করায় ও এটিকে এগিয়ে
নিয়ে যাওয়ায় নিজের ভূমিকার জন্যও তিনি উদ্বিগ্ন।
হিন্টন নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, আমি স্বাভাবিক অজুহাত দিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিই—যদি আমি এটি না করতাম তবে অন্য কেউ করত। সেই নিউইয়র্ক টাইমসই তার গুগল ছাড়া নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৭৫ বছর বয়সি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ এআইকে বেশ ভীতিকর উল্লেখ করে বলেছিলেন, এখনও তারা আমাদের থেকে বুদ্ধিমান নয়। আমি যতদূর বলতে পারি, সম্ভবত শিগগিরই তারা তা হবে (মানুষের থেকেও বুদ্ধিমান)।
এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা, কয়েকটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এবং এ প্রযুক্তির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা ভুল
তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার এবং চাকরি থেকে মানুষকে হটানোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত
চ্যাটবটগুলোর ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গত মার্চে ইলন মাস্ক-সমর্থিত ‘ফিউচার
অব লাইফ’ নামের একটি সংগঠন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষিত করার ওপর ৬ মাসের
স্থগিতাদেশের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সূত্র : সেন্টার ফর এআই সেফটি