প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ১৬:১৭ পিএম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৩ ১৮:৫৬ পিএম
অন্ধকার রাত সামুদ্রিক কচ্ছপ ও পরিযায়ী পাখির জন্যও ক্ষতিকর। ছবি : সংগৃহীত
রাতের আকাশে তারা দেখাকে উপভোগ করেন না, এমন মানুষ মনে হয় পাওয়া যাবে
না। অনেককেই নগর জীবনে স্থান ও সময়ের অভাবে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে তারা দেখতে না
পারায় আক্ষেপ করতে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এবিষয়ে আশার কথা না শুনিয়ে বলছেন আরও শঙ্কার
কথা।
এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ মার্টিন লি গার্ডিয়ানকে পত্রিকাকে
সতর্ক করে বলেছেন, খুব সম্ভবত আলোক দূষণের কারণে আমরা সামনের ২০ বছরের মধ্যে আকাশের
তারা দেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারি।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, গত কয়েক দশকে আলোক দূষণের কারণে পরিস্থিতির
দ্রুত অবনতি হয়েছে। মার্টিন লি এর জন্য দায়ী করেছেন, এলইডি (লাইট-এমিটিং ডায়োড) এবং
আলোর অন্যান্য রূপের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাওয়াকে, যা রাতকে উজ্জ্বল করেছে, অথচ
আকাশকে করেছে অন্ধকার।
তিনি বলেন, ‘রাতের আকাশ আমাদের পরিবেশের অংশ এবং
এটি পরবর্তি প্রজন্মের জন্য খুবই দূর্ভাগ্য হবে, তারা যদি এটি দেখতে না পায়। এই বিষয়টি
বুঝতে আপনাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হতে হবে না। আমি পাখিবিশারদ নই। কিন্তু যদি আমার বাগানে
গানের পাখি না থাকত, আমার খারাপ লাগত।’
আলাদা এক গবেষণায় জার্মান সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের গবেষক ক্রিস্টোফার
কিবা বলেছিলেন, মাত্র জন্মগ্রহণ করা একটি শিশু রাতের আকাশে কেবল ২৫০টি তারা দেখতে পায়,
কিন্তু যখন তার বয়স হবে ১৮, সে কেবল ১০০টি দেখতে সক্ষম হবে।
এর আগে ২০১৬ সালে জোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, মিল্কিওয়ে (আকাশগঙ্গা) গ্যালাক্সি (ছায়াপথ) পৃথিবীর তিন ভাগের একভাগ মানুষের কাছে আর দৃশ্যমান নয়।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে আমাদের সৌরজগতের তথা পৃথিবীর অবস্থান।
তবে আকাশ অন্ধকার হয়ে যাওয়া যে কেবল মানুষ সৌন্দর্য উপভোগেই বিঘ্ন
ঘটাচ্ছে তাই নয়, সামুদ্রিক কচ্ছপ বা পরিযায়ী পাখি যারা চাঁদের আলো দিয়ে দিক নির্ণয়
করে, তারাও বিভ্রান্তিতে পড়ছে। বৈশ্বিক বাস্তুসংস্থানেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সূত্র : এনডিটিভি