প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩ ২২:০৩ পিএম
আপডেট : ২৮ মে ২০২৩ ২২:২৪ পিএম
ইরানের তৈরি একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপ করে রাশিয়া। গত আগস্টে কাজাখস্তানের বাইকোনুরের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্টেশনে। ছবি : সংগৃহীত
মহাশূন্যে রাশিয়া ও চীন উস্কানিমূলক তৎপরতা বাড়িয়েছে। তাদের কারণে আমরা কক্ষপথে যেকোনো ধরনের সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হতে বাধ্য হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন হলে আজ রাতেই মহাশূন্যে পাল্টা হামলা শুরু করতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস কমান্ডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জেসি মোরহাউস বৃহস্পতিবার (২৫ মে) লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। রবিবার (২৮ মে) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মোরহাউস বলেন, ’কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, প্রতিরক্ষা চুক্তি আছে আমাদের এমন মিত্রদের স্বার্থে আঘাত হানে, তাহলে আজ রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মহাশূন্যে পাল্টা হামলা শুরু করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক যুগে স্যাটেলাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, নানা ধরনের সামরিক-বেসামরিক তথ্য সংগ্রহ, জাহাজ চলাচল ইত্যাদির জন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়।
মহাশূন্যের কক্ষপথে থাকা এসব স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করার জন্য সম্প্রতি স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারত এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ফলে মহাশূন্যে হাজার হাজার টনের আবর্জনা তৈরি হচ্ছে, যা কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
২০২১ সালে রাশিয়া একটি স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিজেদের একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করে। এতে করে প্রকট বিস্ফোরণে মহাশূন্যে দেড় হাজারের বেশি টুকরো ছড়িয়ে পড়ে।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, রাশিয়ার একটি স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তাদের একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তা অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
অন্যদিকে মহাকাশে রোবটিক প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি স্যাটেলাইট নিক্ষেপ করেছে চীন। এটি শক্রপক্ষের স্যাটেলাইট বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে। দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে মহাকাশের অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া ও চীনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র : গার্ডিয়ান