প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১১:০৫ এএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৩ ১৭:২৯ পিএম
ব্লু অরিজিনের তৈরি মুন ল্যান্ডারের কল্পিত রূপ। ছবি : ব্লু অরিজিন
অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস প্রতিষ্ঠিত মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’ যুক্তরাষ্ট্রের
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মুন ল্যান্ডার প্রোগ্রামে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন
করেছে। এর মাধ্যমে চন্দ্র পৃষ্ঠে মহাকাশচারী ফেরানোর মিশনে মহাকাশযান তৈরিতে ইলন মাস্কের
‘স্পেসএক্স’-এর সঙ্গে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা।
শুক্রবার (১৯ মে) এক ঘোষণায় নাসা জানিয়েছে, ব্লু অরিজিন আর্টেমিস
৫ মিশনের জন্য ব্লু মুন ল্যান্ডারের ধারণা প্রস্তুত করতে কাজ করবে। আর্টেমিস মিশনের
অধীনে ২০২৮ সালে আর্টেমিস ৫-এ তৃতীয়বার চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথা রয়েছে নাসার। এটিকে
লক্ষ্য রেখেই ব্লু মুন ল্যান্ডার তৈরিতে কাজ করবে ব্লু অরিজিন ও তার অংশীদার লকহিড
মার্টিন, ড্রেপার, বোয়িং, অ্যাস্ট্রোবোটিক ও হানিবি।
সব মিলিয়ে ব্লু অরিজিনের লুনার ল্যান্ডার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে
৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি। তবে নাসার সঙ্গে করা চুক্তিটির মূল্য প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলার।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, ‘আমরা চাঁদে
স্থায়ীভাবে থাকতে চাই। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে চাঁদে যাতে ধারাবাহিক আসা-যাওয়া থাকে।
সুতরাং এটি মাথায় রেখে ব্লু অরিজিন নিজেই শুধু এই মিশনটি পেতে নয়, বরং মিশনের স্থায়িত্ব
নিশ্চিতের জন্য মোট প্রচেষ্টার ৫০ শতাংশেরও (আর্থিক) বেশি অবদান রাখছে।’
এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে আর্টেমিস ৩ মিশনের জন্য মুন ল্যান্ডার
তৈরি করতে স্পেসএক্সের ২৯০ কোটি ডলারের চুক্তি করে নাসা। কোম্পানিটির স্টারশিপ মহাকাশযানের
একটি সংস্করণ তৈরিতে কাজ করছে তারা। ২০২৫ সালের প্রথমদিকে এটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত মাসে স্টারশিপের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে বিস্ফোরিত হয় মহাকাশযানটি।
এদিকে নাসা তার আর্টেমিস মিশনকে নিয়ে বেশ জোরেশোরেই অগ্রসর হচ্ছে।
এরই মধ্যে গত বছর তারা আর্টেমিস ১ মিশন সফলতার সঙ্গে শেষ করেছে। এর অধীনে এখন পর্যন্ত
মহাকাশে যাওয়া সবচেয়ে বড় রকেট এসএলএস উৎক্ষেপণ করেছে তারা। এসএলএস ওরিয়ন নামের একটি
ক্যাপসুল উৎক্ষেপণ করে, যা চাঁদ প্রদক্ষিণ করে এসে সাগরে অবতরণ করে।
২০২৪ সালে আর্টেমিস ২ মিশন পরিচালনা করার কথা রয়েছে নাসার। যেখানে
ওরিয়নে করে চাঁদের কাছে চলে যাবেন নভোচারীরা। অ্যাপোলো মিশনের পর ২০২৫ সালে আর্টেমিস
৩ মিশনে চাঁদে নভোচারীর পদচারণ হবে বলে আশা করছে নাসা।
সূত্র : সিএনএন