প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৮ মে ২০২৩ ১৫:৫৫ পিএম
নতুন পাওয়া এক্সোপ্ল্যানেটটি পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে। ছবি : সংগৃহীত
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর আকৃতির আরও একটি এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, এলপি ৭৯১-১৮ডি এক্সোপ্ল্যানেটটি
সম্ভবত আগ্নেয়গিরিতে আচ্ছ্বাদিত। আর এই আগ্নেয়গিরিগুলো অনেকটাই বৃহস্পতির চাঁদ আইওতে
থাকা আগ্নেয়গিরির মতো হয়ে থাকতে পারে। তবে গ্রহটি পৃথিবীর আকৃতির হলেও এতে জীবন ধারণের
কোনো প্রাথমিক চিহ্ন খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি নাসা বা এর সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।
এতে আগ্নেয়গিরির ধারণা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন তার কক্ষপথে বৃহস্পতির চাঁদ আইওর সাদৃশ্য থাকায়। ইউনিভার্সিটি অব কানসাসের পদার্থ ও জ্যোতির্বিদ্যার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইয়ান ক্রসফিল্ড বলেন, ‘আমরা জানি না সেখানে আদৌ আগ্নেয়গিরি আছে কি না। কিন্তু বৃহস্পতির চাঁদ আইওর কক্ষপথের কারণেই সেখানে আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। আর একই রকম কক্ষপথ রয়েছে এলপি ৭৯১-১৮ডি নামক এক্সোপ্ল্যানেটে।’ এক্সোপ্ল্যানেটটি নিজ অবস্থানে ঘোরে না, অর্থাৎ এক স্থানে সব সময় দিন থাকে ও অপর স্থানে সব সময় রাত, আইওর অবস্থানও এমন। সে কারণেই ভাবা হচ্ছে, এক্সোপ্ল্যানেটটি আগ্নেয়গিরিতে আচ্ছ্বাদিত। পৃথিবীতে সক্রীয় আগ্নেয়গিরি থাকলেও আমাদের সৌরজগতে প্রদক্ষিণরত সবগুলো গ্রহ ও চাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি আছে এই আইওতেই।
গ্রহটিকে খুঁজে পেতে জ্যোতির্বিদরা নাসার গ্রহ খুঁজে বের করার ‘ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’, স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ ও অন্যান কিছু স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপ থেকে সংগৃহীত ডেটা ব্যবহার করেছেন। নেচার জার্নালে এ-সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। নাসার একটি ভ্যারিফায়েড টুইটার পেজ থেকেও বুধবার (১৭ মে) এক টুইটবার্তায় নতুন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এলপি ৭৯১-১৮ডি এক্সোপ্ল্যানেটটির অবস্থান পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে ক্রেটার নক্ষত্র মণ্ডলে। এটি একটি লাল বামন নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে। আলো সেকেন্ডে ৩ লাখ ৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ছোটে। এই আলোই এক বছরে যত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে, তাকেই এক আলোকবর্ষ বলা হয়।
গবেষণা প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এর পাশাপাশি আরও দুটি এক্সোপ্ল্যানেটও একই নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে, যার আকৃতি খুব সম্ভব পৃথিবী থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
আমাদের সৌরজগতের বাইরে খুঁজে পাওয়া গ্রহগুলোকেই এক্সোপ্ল্যানেট বলা হয়। ১৯৯৫ সালে প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ৪ হাজারেরও বেশি এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে ‘কেপলার-২২বি’-এর মতো কিছু গ্রহ রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে প্রাণ না থাকলেও প্রাণ ধারণের উপযোগী হয়ে থাকতে পারে।
সূত্র
: এনডিটিভি