প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:২৫ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৭ পিএম
প্রাণীর মতো গাছেরাও তৈরি করে শব্দ, বলছে গবেষণা। ছবি : সংগৃহীত
মানুষ খাবার না পেলে বা প্রত্যাশামতো কিছু না হলে
কান্নাকাটি করে, নয়তো চিৎকার করে। অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও বেদনা, কষ্ট বা কোনো কিছু
না পাওয়ার প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। ধরুন কোনো গাছ যদি পানি না পায়, সেও কি প্রতিক্রিয়া
জানায়? চিৎকার করে? কিংবা সে কী মৌমাছিকে আহ্বান জানায় পরাগায়নে সহায়তা করার জন্য?
নতুন এক গবেষণা বলছে, পানি থেকে বঞ্চিত হলে
গাছেরাও চিৎকার করে, তারাও মৌমাছির মতো প্রাণীকে আহ্বান জানাতে শব্দ তৈরি করে। যার
ফ্রিকোয়েন্সি মানুষের শোনার সক্ষমতার বাইরে হওয়ায় তা আমরা শুনতে পারি না। শুধু পানির অভাবই নয়, সেলফ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি
বলছে, গাছ কাটা হলেও এটি বায়ুবাহিত শব্দ তৈরি করে। তবে খরার ক্ষেত্রে এর উৎপাদিত শব্দ
তিন থেকে পাঁচ মিটার অব্দিও যেতে পারে।
পুরো গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তেলআবিব
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। তারা গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন, এ শব্দ মানুষ না শুনলেও অন্যান্য
প্রাণীদের শোনার জন্য তা যথেষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে। গাছকে স্থির থাকতে হয়, অন্যান্য
প্রাণীর মতো সে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না, কাটতে নিলে বা কোনো তৃণভোজী প্রাণী খেতে এলে পালাতে পারে না। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা দেখছেন, পালানোর মতো প্রতিক্রিয়া না দেখাতে
পারলেও নিজের সাধ্যমতো প্রতিক্রিয়া ঠিকই দেখায় গাছ।
শুধু তাই নয়, তাদের এই শব্দ উৎপাদন ক্ষমতাকে
প্রজনন সাফল্যকে বাড়াতে, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার মতো জীবের সঙ্গে পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক
তৈরি করতে ব্যবহার করে। টমেটো, তামাক গাছ, ক্যাকটাস, ভুট্টা ও গমের মতো উদ্ভিদ মৌমাছিকে
আকৃষ্ট করতেও বায়ুবাহিত শব্দ তৈরি করতে পারে।
এর আগে ২০১৯ সালে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির গুঞ্জনের সঙ্গে উদ্ভিদের মিষ্টিজাতীয় পদার্থ উৎপাদনের সম্পর্ক রয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি