× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মঙ্গলের মাটিতেই সম্ভব ধান চাষ!

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০৯ পিএম

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৪২ পিএম

মঙ্গলের মাটিতে পারক্লোরেট রয়েছে, যা উদ্ভিদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এই বিষয়টির যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়, তবে মঙ্গলের মাটি ধান উৎপাদনের জন্য উপযোগীই বলতে হবে। ছবি : সংগৃহীত

মঙ্গলের মাটিতে পারক্লোরেট রয়েছে, যা উদ্ভিদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এই বিষয়টির যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়, তবে মঙ্গলের মাটি ধান উৎপাদনের জন্য উপযোগীই বলতে হবে। ছবি : সংগৃহীত

মঙ্গলে স্থায়ীভাবে মানব বসতি স্থাপন করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এ ছাড়া নাসাও চাইছে এক দশকের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে। মানুষ যদি মঙ্গলে থাকতেই চায়, দূরত্বের কারণে তার পক্ষে খাবার বা পানীয় এই লাল গ্রহে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই চাইছেন, মঙ্গলে মানুষের অভিযানে প্রয়োজনীয় খাদ্য যেন সেই গ্রহের মাটিতেই উৎপন্ন করা হয়।

এবার এ-সংক্রান্ত গবেষণায় বড় সুখবর দিয়েছেন আরকানসাস ইউনিভার্সিটির গ্রহবিজ্ঞানী (প্ল্যানেটারি সায়েন্টিস্ট) অভিলাশ রামচন্দ্রন। ১৩ মার্চ চন্দ্র ও গ্রহবিজ্ঞান সম্মেলনে তিনি মঙ্গলে খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কিত তার গবেষণা তুলে ধরেন। যেখানে বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে দাবি করেন, খুব সম্ভব মঙ্গলের মাটিতে ধান উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদানই থাকতে পারে।

তিনি জানান, মঙ্গলের মাটিতে পারক্লোরেট রয়েছে, যা উদ্ভিদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এই বিষয়ের যদি একটি ব্যবস্থা করা যায়, তবে মঙ্গলের মাটি ধান উৎপাদনের জন্য উপযোগীই বলতে হবে।

অভিলাশ তার প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় বলেন, ‘আমরা মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠাতে চাই। কিন্তু আমরা সেখানে সবকিছু নিয়ে যেতে পারি না। এটি ব্যয়বহুল হতে চলেছে। তাই সেখানে ধান চাষ আদর্শ হবে। কারণ এটি প্রস্তুত করা সহজ। আপনি শুধু খোসা ছাড়বেন আর ফুটিয়ে রান্না করবেন।’

তিনি ও তার সহকর্মীরা মোজাভের মরুভূমির বেসাল্ট (আগ্নেয়গিরিজাত শিলা) দিয়ে মঙ্গলের মাটির সিম্যুলেন্ট (অনুরূপ) তৈরি করেন। পরে সেখানে তারা ধান চাষ করতে সক্ষম হন। এই মাটিতে দিনে এক থেকে দুবার পানি দিতে হতো।

গবেষকরা এও দেখেছেন, প্রতি কিলোগ্রাম মাটিতে পারক্লোরেটের ঘনত্ব ৩ কিলোগ্রাম হলে কোনো ধানগাছ জন্মায় না। কিন্তু যখন ঘনত্ব ছিল প্রতি কিলোগ্রামে ১ গ্রাম, তখন ঠিকই ধানের অঙ্কুর ও শিকড় দুই-ই বৃদ্ধি পেয়েছিল।

 

 

সূত্র : সায়েন্স নিউজ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা