প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৩ এএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২৫ এএম
নতুন এ কৃষ্ণগহ্বরের অবস্থান ছায়াপথের মধ্যে নয়, এক প্রান্তে। ছবি : নাসা
হাবল টেলিস্কোপ এক অতিকায়
কৃষ্ণগহ্বরের (ব্ল্যাক হোল) সন্ধান পেয়েছে যার ওজন আমাদের সূর্যের চেয়ে কোটি গুণ
বেশি। এমনকি এর চলার পথে ২ লাখ আলোকবর্ষ (আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে আলোকবর্ষ
বলে) পর্যন্ত দীর্ঘ ঘনীভূত নবজাতক নক্ষত্র রেখে গেছে, যা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিরও
দ্বিগুণ ব্যাসের। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমনটাই জানিয়েছে।
হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে
পর্যবেক্ষণে কৃষ্ণগহ্বরটিকে আন্তঃছায়াপথীয় মহাকাশের মধ্যে দ্রুত ছুটতে দেখা গেছে।
নাসা বলছে, এটি যদি আমাদের সৌরজগতে হতো তবে পৃথিবী থেকে এটির চাঁদে পৌঁছাতে ১৪ মিনিট লাগত।
যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের
গবেষক পিটার ভ্যান ডক্কুমকে আকর্ষণ করেছে এ কৃষ্ণগহ্বরের চলার পথে দীর্ঘ ঘনীভূত ফেলে
আসা নক্ষত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্ল্যাক হোলের পেছনে থাকা নক্ষত্রের গঠনের দিকে নজর দিচ্ছি।
আমরা যা দেখছি তা হলো পরের ঘটনা। জাহাজের পেছনে জেগে ওঠার মতো, কৃষ্ণগহ্বরের পেছনে
জেগে উঠতে দেখছি।’
গবেষকরা বলতে চাইছেন, কৃষ্ণগহ্বরটির
অবস্থান এক প্রান্তে আর অন্য প্রান্তে রয়েছে এর মূল ছায়াপথ। এমনকি ছায়াপথের কেন্দ্রে
সক্রিয় গ্যালাক্সির কোনো অস্তিত্বও নেই। মহাবিশ্ব সম্পর্কে গবেষকদের এখন পর্যন্ত
জানা তথ্যের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, খুব সম্ভবত সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক
হোলের একাধিক সংঘর্ষের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।
গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র দি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশ করেছেন। তবে পরবর্তী পদক্ষেপে গবেষকরা বলছেন, অস্বাভাবিক এ কৃষ্ণগহ্বররের ব্যাখ্যা নিশ্চিত করতে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং মুন এক্স-রে অবজারভেটরির সঙ্গে ফলোআপ পর্যবেক্ষণ করা হবে।
কৃষ্ণগহ্বর আসলে কী?
কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল হচ্ছে মহাকাশের এমন একটি অংশ যার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই বেশি যে আলো পর্যন্ত সেখান থেকে বের হতে পারে না। সাধারণত ছায়াপথের কেন্দ্রে হয় এর অবস্থান। এটি তার কাছে থাকা নক্ষত্রগুলোকে পর্যন্ত টেনে নেয়। এর নাম গহ্বর বলা হলেও আসলে এটা ফাঁকা নয়। বরং এর ভেতরে খুব ছোট একটি জায়গায় বিপুল পরিমাণ পদার্থ জমাট বেঁধে আছে। তার ফলেই এর মহাকর্ষ শক্তি এত জোরালো।