প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৪ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৬ পিএম
পৃথিবীর দিকে গ্রহাণুর এগিয়ে আশার ইলাস্ট্রেটেড চিত্র। ছবি : সংগৃহীত
ফের গ্রহাণুর হাত থেকে রেহাই পেল পৃথিবী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শনিবার
বিশাল আকারের এক গ্রহাণু পৃথিবী ও চাঁদের মাঝ দিয়ে চলে যায়। গোটা ঘটনাটিকে তারা অভিহিত
করছেন ‘বিরল’ হিসেবে।
গ্রহাণুটিকে ‘২০২৩ ডিজেড টু’ নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, এর
ব্যাস ৪০ থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এটি এতটাই বড় যে, এর আঘাতে একটি গোটা শহর
ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
তবে গ্রহাণুটির সন্ধান
খুব বেশিদিন আগে পাননি তারা। মাসখানেক আগে এটির সন্ধান পাওয়া যায়।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন,
পৃথিবী থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে এবং পৃথিবী ও চাঁদের মাঝখানের ফাঁকা
জায়গা দিয়ে পার হওয়ার কথা এটির। ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার মতে, গ্রহাণু সম্পর্কে আরও
ভালোভাবে জানতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কিছুর ব্যাপারে সতর্ক হতে এটি কাজে দেবে।
এ ছাড়াও কখনও এ রকম পরিস্থিতি উদ্ভূত হলে কী করা উচিত, তার প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও
এ ঘটনাটি বিজ্ঞানীদের কাজে আসবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৬
সালে এটি হয়তো আবার পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি আসবে। গ্রহাণুটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে
এ তথ্য পেয়েছেন তারা। তবে তাদের মতে, সে সময়ও এটির সঙ্গে পৃথিবীর ধাক্কা লাগার আশঙ্কা নেই।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের
প্রথম ভাগে আরও একটি গ্রহাণু নিয়ে খবর ছড়ায়। তখন রটেছিল, ২০৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের
১৪ তারিখে গ্রহাণুটি পৃথিবীর বুকে আঘাত হানতে পারে। ওই গ্রহাণুটির আকারও একই রকম।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন,
‘২০২৩ ডি ডব্লিউ’ নামের ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর ৪৩ লাখ মাইল দূর দিয়ে চলে যাবে। এ-সম্পর্কিত
নতুন হিসাব-নিকাশ থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তারা।
আদৌ কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানতে নিলে কী করা উচিত, তা নিয়ে গবেষণা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত বছর একটি পিরামিড আকৃতির গ্রহাণুর ওপর আঘাত হানতে ডার্ট নামের একটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষাটি সফল হয়েছিল। গ্রহাণুটির কক্ষপথ আবর্তনের সময় কমে গিয়েছিল ৩২ মিনিট।
সূত্র : বিবিসি