আইএসএস মিশনের প্রশংসা করলেন রাশিয়ার নারী নভোচারী কিকিনা

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিজের মহাকাশ অভিযানের পরিবেশকে ‘বিস্ময়কর’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার একমাত্র পেশাদার নারী মহাকাশচারী আনা কিকিনা।

তিনি স্পেসএক্সের একটি মহাকাশযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান।

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মধ্যেও কক্ষপথে স্থাপিত স্টেশনটি মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সহযোগিতার অবশিষ্ট কয়েকটি নিদর্শনের মধ্যে একটি।

কিকিনা রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়নের পঞ্চম পেশাদার নারী মহাকাশচারী, যিনি মহাকাশে উড়েছেন এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের রকেটে মহাকাশে যাওয়া রাশিয়ার প্রথম নভোচারী।

৩৮ বছর বয়সি এই প্রকৌশলী ও নভোচারী একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বলেন, ‘আমি ফ্লাইটটি খুব পছন্দ করেছি। সবকিছুই বেশ আরামদায়ক ছিল।’

জাপানের কোইচি ওয়াকাটা ও নাসার মহাকাশচারী নিকোল মান, জোশ কাসাদাসহ মহাকাশ স্টেশনে পাঁচ মাস থাকার পর কিকিনা ১২ মার্চ পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

আইএসএসে সহকর্মীদের সঙ্গে তার কথোপকথনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, তিনি সেখানে কোনো অসুবিধা অনুভব করেননি।

কিকিনা বলেন, ‘একে অন্যের প্রতি সমর্থন সর্বদা অনুভূত হয়েছিল। স্টেশনে এবং স্পেসশিপে উভয়ই হাস্যরসের ভালো অনুভূতি ছিল। পরিবেশ চমৎকার ছিল।’

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর কিকিনা হিউস্টনে নাসার একটি কেন্দ্রে তার পুনর্বাসনের প্রথম পর্যায় কাটিয়েছেন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে মস্কোর বাইরে স্টার সিটিতে তার পুনরুদ্ধার চালিয়ে যাবেন।

কিকিনার আগে মহাকাশে পাড়ি জমানো শেষ রাশিয়ান নারী ছিলেন এলেনা সেরোভা, যিনি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ১৬৭ দিন আইএসএসে কাটিয়েছিলেন।

সোভিয়েত মহাকাশচারী ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভা প্রথম নারী মহাকাশচারী হিসেবে ১৯৬৩ সালের ১৬ জুন মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন।

২০২১ সালের অক্টোবরে রাশিয়া একজন অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ডকেও মহাকাশে পাঠিয়েছিল, যিনি একটি চলচ্চিত্রের জন্য আইএসএসের শুটিং দৃশ্যে ১২ দিন কাটিয়েছিলেন।

সূত্র : পেনিনসুলা