প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০১ এএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৬ এএম
হিমবাহের নিচ খতিয়ে দেখতে পারে আন্ডারওয়াটার রোবট ড্রোন আইস্ফিন। ছবি : কর্নেল ইউনিভার্সিটি
বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে হিমবাহ ও মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। এ কথা সবারই জানা। এবার নতুন এক গবেষণায় আরও বিপদের আঁচ পেয়েছেন
বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টার্কটিকার বিস্তীর্ণ থোয়াইটস হিমবাহ পর্যবেক্ষণরত বিজ্ঞানীরা
ভয়াবহ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এর দুর্বল জায়গাগুলো দিয়ে গরম পানি ভেতরে প্রবেশ করছে।
আর এটি যদি পুরোটাই গলে যায়, সমুদ্রের উচ্চতা বিপজ্জনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পাবে।
থোয়াইটস হিমবাহটি এর আকৃতির জন্য ‘ডুমসডে গ্লেসিয়ার’ নামে পরিচিত।
আকারে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সমান। বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের ১.৬
ফুট উচ্চতা বাড়তে পারে, যদি এটি গলে যায়। এর থেকেও ভয়াবহ বিষয়টি হলো, এর গলে যাওয়া প্রতিবেশী
হিমবাহগুলোকেও অস্থিতিশীল করতে পারে; যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরও প্রায় ১০ ফুট বৃদ্ধির
কারণ হতে পারে। ফলে বিশ্বের অনেক নিচু অঞ্চল ডুবে যাবে এবং জীববৈচিত্র্যে তা সরাসরি
প্রভাব ফেলবে।
ইন্টারন্যাশনাল থোয়াইটস গ্লেসিয়ার কোলাবরেশনের অংশ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকায়
সর্ববৃহৎ ক্ষেত্র অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ১৩ জন বিজ্ঞানীর একটি দল ২০১৯
সালের শেষের দিকে এবং ২০২০ সালের প্রথম দিকে থোয়াইটস হিমবাহে প্রায় ছয় সপ্তাহ অবস্থান
করেছিল। সে সময় তারা একটি আন্ডারওয়াটার রোবট ড্রোনের মাধ্যমে এ হিমবাহের নিচের অংশও
পর্যবেক্ষণ করে।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ব্রিটনি স্মিডের নেতৃত্বে নেচার জার্নালে
বুধবার প্রকাশিত দুটি গবেষণাপত্রের একটিতে বলা হয়েছে, গরম পানি ক্রেভাসেস ও টেরেস
নামে পরিচিত দুটি ফাটলের মতো জায়গায় প্রবেশ
করছে, ফলে এর আশপাশের ৯৮ ফুট পুরু বরফ গলে যাচ্ছে; যা প্রতিবছরই বাড়ছে।
ব্রিটনি বলেন, ‘গরম পানি হিমবাহের দুর্বলতম অংশে প্রবেশ
করছে এবং এটিকে আরও খারাপ করে তুলছে। পরিস্থিতি এমন যে আমাদের সবার উদ্বিগ্ন হওয়া
উচিত।’
বিজ্ঞানীরা আগে হিমবাহের গলে যাওয়া লক্ষ করতে স্যাটেলাইট ইমেজের ওপর নির্ভর করতেন। তবে এখন আন্ডারওয়াটার রোবট ড্রোনও ব্যবহার শুরু করেছেন; যার ফলে হিমবাহের পর্যবেক্ষণ আরও গভীরভাবে করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা