প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩২ এএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৭ পিএম
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক আগে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে আরেকটি ইঞ্জিনও নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং ৩১টি ইঞ্জিন সামগ্রিকভাবে শ্যুট (থ্রাস্ট উৎপন্ন) করেছে। এটি অরবিটালে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট ইঞ্জিন। ছবি : সংগৃহীত
চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযান চালানোর
উপযোগী এমন শক্তিশালী রকেট ইঞ্জিনগুলোর নতুন একটির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে ইলন মাস্কের
মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। মূলত রকেট ইঞ্জিনগুলো যে বুস্টারে লাগানো হয়েছে, তা
স্পেসএক্সের সবচেয়ে বড় রকেট স্টারশিপ উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে
আগামী মাসেই অরবিটালে যাওয়ার টেস্ট ফ্লাইটে অংশ নেবে স্টারশিপ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি)
চালানো এই পরীক্ষায় বুস্টারে থাকা ৩৩টি রকেট ইঞ্জিনই চালু করা হয়। পরীক্ষাটি ‘স্ট্যাটিক
ফায়ার’ নামে পরিচিত, টেক্সাসে থাকা স্পেসএক্সের স্টারশিপ লঞ্চ প্যাড বোকাচিকায় এই পরীক্ষা
চালানো হয়। এটি এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি থ্রাস্ট তৈরির নতুন রেকর্ড করছে বলে মনে করা
হচ্ছে।
ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, পরীক্ষা
শুরু হওয়ার ঠিক আগে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে আরেকটি ইঞ্জিনও নিজ থেকেই বন্ধ
হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং ৩১টি ইঞ্জিন সামগ্রিকভাবে শ্যুট (থ্রাস্ট উৎপন্ন) করেছে। এটি অরবিটালে
পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট ইঞ্জিন।
স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো
হয়েছে, পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ সময়কাল স্থায়ী হয়েছিল।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পরীক্ষা
চলাকালে বুস্টারের গোড়া থেকে কমলা অগ্নিশিখা দৈত্যাকার চাদর বেরিয়ে আসে এবং ধোঁয়ার
মেঘ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ৬৯ মিটার (২৩০ফুট) বুস্টারটি মাটিতেই
নোঙর করা ছিল, যাতে উড়তে না পারে।
পরীক্ষার আগে স্পেসএক্সের
প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুয়েন শটওয়েল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে
এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যদি পরীক্ষাটি সফল হয় তবে প্রথম অরবিটাল উৎক্ষেপণ পরে (মার্চে) হতে পারে। আর এটি সত্যিই চূড়ান্ত গ্রাউন্ড টেস্ট।
এরই মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য
নির্ধারিত আর্টেমিস-৩ মিশনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা
তার মহাকাশচারীদের চাঁদে ফেরাতে স্পেসএক্সের ক্যাপসুলই বেছে নিয়েছে।
যখন বুস্টারের ওপর স্টারশিপের
মূল কাঠামো স্থাপন করা হয়, তখন পুরো যানটি উচ্চতায় স্ট্যাচু অব লিবার্টিকেও ছাড়িয়ে
যায়। যানটিকে বলা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহে মানব উপনিবেশ স্থাপন করার মাস্কের উচ্চবিলাসী
পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে নিকট ভবিষ্যতে এটি নাসার চাঁদে মানব অনুসন্ধানে অগ্রণী
ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে।
স্পেসফ্লাইট উৎসাহীরা স্পেসএক্সের
জন্য এটিকে ‘বড় জয়’ হিসেবে বর্ণনা করছেন।