প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০৬ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত কয়েক বছরে দেশে দেশে বিক্ষোভ বেড়েছে। গত বছরের আগস্টে নিউইয়র্কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর উষ্ণতা যে গতিতে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলেও আগামী ১০ বছরের মধ্যেই তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। চলতি শতাব্দির মাঝামাঝি তা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, এক দশকের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা দেড় ডিগ্রি ছাড়াবে। আর ২০৪৪ থেকে ২০৬৫ সালের মধ্যে তা ২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ। এমনটি হলে পৃথিবী বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে। এতে বিপুল পরিমাণ ডেটা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বৈশ্বিক জলবায়ু মডেল সিমুলেশন বিশ্লেষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শিল্প বিপ্লবের আগের তুলনায় পৃথিবীর বর্তমান উষ্ণতা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি বৃদ্ধির যে দাবি করা হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। এআইয়ের গবেষণাও ঠিক একই ফল দিয়েছে।
গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী নোয়া ডিফেনবাঘ। গার্ডিয়ানের সঙ্গে আলোচনায় ডিফেনবাঘ বলেন, ‘শিল্প বিপ্লবের পূর্ববর্তী সময় থেকে পৃথিবীর উষ্ণতা ইতোমধ্যে ১ ডিগ্রির বেশি বেড়েছে। এটা নিয়ে আমাদের হাতে নির্ভুল তথ্য রয়েছে। উষ্ণতা বৃদ্ধি আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাও আমাদের জানা। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এখন পর্যন্ত যেসব গবেষণা হয়েছে, তার প্রায় সবই প্রচলিত পদ্ধতিতে করা। কিন্তু এবার এআই ব্যবহার করে যে গবেষণা করা হয়েছে তা নতুন। এটা অনেক বেশি যথাযথ।’
এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্ব নেতাদের এখনই একমত হতে হবে বলে মনে করেন ডিফেনবাঘ। ডিফেনবাঘ বলেন, ‘২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য যে সব সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে মানবজাতিকে বড় মূল্য দিতে হবে।’
সূত্র: গার্ডিয়ান।