প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪০ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১২ পিএম
জাপানসহ বিভিন্ন দেশে সেবা খাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। ছবি : সংগৃহীত
প্রকৌশল, প্রতিরক্ষা ও সেবা খাতসহ প্রায় সবকিছুতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
জায়গা করে নিচ্ছে। এরই মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের বানানো চ্যাটজিবিটি
প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন তুলেছে। কিন্তু একই সঙ্গে অনেকেই বলছেন, দরিদ্র ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর
জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হুমকিস্বরূপ। কিন্তু আসলেই কি তাই!
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শুধু কাজেই আসবে না, তাদের জীবনকে আরও নিরাপদ ও নাগরিক
অধিকার নিশ্চিতকল্পে স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠান ‘ডুনটপে’ নিয়ে এসেছে একেবারে ভিন্ন কিছু।
তারা এরই মধ্যে রোবট আইনজীবী তৈরি করেছে এবং খুব শিগগিরই আদালতে টিকিটসংক্রান্ত দুটি
মামলাও লড়তে যাচ্ছে।
বিচারকদের প্রশ্নের জবাবে কী উত্তর দিতে হবে বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে
হবে নতুন এই রোবট আইনজীবী বাদী/বিবাদীকে সে সংক্রান্ত পরামর্শ দেবে।
এই প্রযুক্তি নিয়ে বেশ আশাবাদী ডুনটপে-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা জোশুয়া বাউটার। তিনি ইউএসএ টুডেকে বলেন, ‘আমি মনে করি যে এটি জিপিটি ও বড়
ভাষা মডেল প্রযুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা।’
দুটি মামলার একজন বিবাদী আদালতের সঙ্গে জুম কলের মাধ্যমে যুক্ত হবেন। তাকে
দিক-নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইনজীবীর ব্যবহার খুব একটা জটিল
হবে না। তবে আরেকজন বিবাদী সশরীরে আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকবেন। ডুনটপে একটি ব্লুটুথ
ইয়ারপিসের মাধ্যমে বিবাদীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়টি ভাবছে।
পরিকল্পনামাফিক সবকিছু হলে এটিই হতে যাচ্ছে বিচার বিভাগের ইতিহাসে মামলা
পরিচালনায় প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও আইনি সেবা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর
সাধ্যের বাইরে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে আইনী সহায়তার ক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর
৮০ শতাংশ মানুষ আইনজীবীর ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাদের জন্য
আশির্বাদ হিসেবে দেখা দেবে।
ডুনটপের সিইও বাউটার আশা করছেন যে এবারের পরীক্ষাটি আদালতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
ব্যবহারের নিয়মগুলোকে শিথিল করবে।
বাউটার জানিয়েছেন, যাদের মামলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে তাদের
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডুনটপে নেবে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া
বিবাদীদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।
ডুনটপে তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, প্রতিষ্ঠানটির আনা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই
পৃথিবীর প্রথম এআই আইনজীবী। করপোরেশন ও আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই তাদের
এই কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আইনজীবীর খরচ নিয়ে আর চিন্তা নেই। আপনার অধিকার রক্ষায়
যে কারও বিরুদ্ধে মামলা করুন।
২০১৫ সাল থেকে ডুনটপে-এর জিপিটি মানুষদের পার্কিং টিকিটের জন্য আবেদন করতে
এবং এয়ারলাইনগুলো থেকে রিফান্ডের অনুরোধ করতে সাহায্য করছে।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন