প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৩ পিএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৭ পিএম
আগামী কয়েক দশকে ওজোনস্তর সম্পূর্ণ পুনর্গঠন করা যাবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। প্রতীকী ছবি
জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউস গ্যাস ইত্যাদি শব্দগুচ্ছ সম্প্রতি বেশ শোনা যায়। এত বেশি শোনা যায় যে, অনেক সময় এসব শব্দগুচ্ছ বা পরিভাষার প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব বিষয়ে সাধারণত নেতিবাচকতাই প্রধান খবর। কিন্তু কিছু ইতিবাচক খবরও আছে।
মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে ওজোনস্তর ইতোমধ্যে যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ১৯৮৭ সালে করা মন্ট্রিল প্রোটোকল যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হলে আগামী কয়েক দশকে ওজোনস্তর সম্পূর্ণ পুনর্গঠন করা যাবে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন।
ওজোনস্তর কী
বায়ুমণ্ডলের একটি পাতলা আবরণকে ওজোনস্তর বলা হয়। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ আটকে দেয়। ফলে তা সরাসরি পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে না।
ওজোনস্তরে ফুটো
১৯৭০ এর দশকে ওজোনস্তর পাতলা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের প্রথম নজরে আসে। এরপর ১৯৮৫ সালে ওজোনস্তরে প্রথম ফুটো শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা।
ওজোনস্তরের গুরুত্ব
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি মানুষ ও অন্য জীবের গায়ে লাগলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। এটা ডিএনএ ধ্বংস করে দিতে পারে। চামড়া পুড়িয়ে ফেলে, যা অনেক সময় চর্ম ক্যানসারে রূপ নেয়।
ওজোনস্তর সমস্যার দায়
মূলত মানুষের ভোগবাদী মানসিকতার কারণে ওজোনস্তর সংকটে পড়ছে। এয়ার কন্ডিশনার (এসি), ফ্রিজ, নানান ধরনের স্প্রে ও ফেনা নিরোধকের ব্যবহার ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।
আশার আলো
১৯৮৫ সালে ওজোনস্তরে প্রথম ফুটো শনাক্ত হওয়ার পর ১৯৮৭ সালে কানাডায় মন্ট্রিল প্রোটোকলে সই করে ৪৬টি দেশ। পরে জাতিসংঘের সব সদস্য, তথা ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চল তা গ্রহণ করে। এরপর থেকে ওজোনস্তরের জন্য ক্ষতিকর কিছু উপাদানের ব্যবহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ নিষিদ্ধ ক্ষতিকর উপাদান ওজোনস্তর থেকে সরানো সম্ভব হয়েছে। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৬৬ সালের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকার ওজোনস্তর ১৯৮৫ সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, অ্যান্টার্কটিকার ওজোনস্তর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
তার আগে ২০৪৫ সালের মধ্যে আর্কটিক মহাসাগরের ওজোনস্তর ঠিক করা যাবে। এভাবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে পৃথিবীর পুরো ওজোনস্তর পুনর্গঠন করা যাবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র : বিবিসি।