প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২০ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১১ পিএম
পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রিন ব্যাংক টেলিস্কোপের রেডিও অ্যান্টেনা দিয়ে ২০২১ সালের ৯ মার্চ তোলা অ্যাপোফিস গ্রহাণুর চিত্র। ছবি : নাসা
পৃথিবীর খুব কাছে ধেয়ে আসছে বিপজ্জনক আকৃতির এক গ্রহাণু। গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন ৯৯৯৪৩২ অ্যাপোফিস। প্রায় ১ হাজার ১০০ ফিট চওড়া (৩৪০ মিটার) এই গ্রহাণু ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২০ হাজার মাইল (৩২ হাজার কিলোমিটার) দূর দিয়ে অতিক্রম করবে। এ দূরত্ব পৃথিবীর এতই কাছে যে জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইটগুলোও এর থেকে দূরে থাকে।
জ্যোতির্বিদদের মতে, ৩০০ মিটারের বেশি চওড়া গ্রহাণু মুহূর্তে
একটি মহাদেশ পর্যন্ত ধ্বংস করে দিতে পারে। আর এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে কাছের
গ্রহাণু হতে যাচ্ছে অ্যাপোফিস।
এরই মধ্যে এটিকে এস-টাইপ গ্রহাণু হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
এ ধরনের গ্রহাণুগুলো সিলিকেট (পাথুরে) পদার্থ, ধাতব নিকেল ও লোহার মিশ্রণে তৈরি
হয়। এখন পর্যন্ত এর হাই রেজুলেশন ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।
আর এই গ্রহাণু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসার ঘটনাটি ঘটবে ২০২৯
সালের ২৯ এপ্রিল। সে সময় পৃথিবীর পূর্ব গোলার্ধ থেকে খালি চোখেই স্পষ্ট দেখা যাবে এই
গ্রহাণুর অতিক্রমের দৃশ্য।
এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শুরুতে গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, অস্বস্তি হওয়ার মতো কাছ দিয়ে অতিক্রমের আশঙ্কা থাকায় এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
কিন্ত পরে গ্রহাণুর পুরো বিষয়টি আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখে জ্যোতির্বিদরা বলছেন, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে গ্রহাণুতে কম্পনের ঘটনাও ঘটতে পারে।
তবে তা এই গ্রহের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না।
অ্যাপোফিসকে প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় ২০০৪ সালের ১৯ জুন। যুক্তরাষ্ট্রের
আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের টাকসনে কিট পিক ন্যাশনাল অবজারভেটরির গবেষক রয় টাকার, ডেভিড থোলেন
এবং ফ্যাবরিজিও বেরনারডি এটিকে প্রথম শনাক্ত করেন। এর পর থেকেই অপটিক্যাল রাডার ও টেলিস্কোপের
মাধ্যমে এর ওপর নজরদারি চলছে। বিজ্ঞানীরা এর গতিপথ পরিমাপ করতে থাকেন এবং তারা আত্মবিশ্বাসী
যে এর পথ সঠিকভাবে বের করতে পেরেছেন।
পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি না করলেও কোনো ধরনের ঝুঁকি
নিতে চাইছে না নাসা। এরই মধ্যে গ্রহাণুটিকে পর্যবেক্ষণের জন্য মহাকাশযান পাঠানোর কাজ
শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।
সূত্র : নাসা