প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৭ পিএম
মারাত্মক গরমের সঙ্গে বৃষ্টি না হওয়ায় খরাও যুক্ত হয়েছে।
প্রবল গরম ও খরার মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ‘স্কুল অব জিওগ্রাফি’ তাদের একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করেছে।
এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে 'নেচার' জার্নালে।
২০২২ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব ভালোভাবেই টের পাওয়া গেছে। গত এক-দুই বছর নয় বরং শেষ এক দশকের আবহাওয়া পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, লন্ডন থেকে সাংহাই-পুরো বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান।
আবহাওয়া বিচারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মারাত্মক গরমের সঙ্গে বৃষ্টি না হওয়ায় খরাও যুক্ত হয়েছে। প্রবল গরমে স্থলভাগে পানির অভাব দেখা দেবে। ফলে জমিতে পানির পরিমাণ কমে যাবে। অবধারিতভাবেই তৈরি হবে খরা।
উহান ইউনিভার্সিটির অতিথি গবেষক জিয়াবো ইন ও অক্সফোর্ডের গবেষক লুইস স্লেটার জানিয়েছেন, এভাবে চললে মানব জাতির জন্য তা বিপজ্জনক হবে। বাস্তুতন্ত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে প্রবলভাবে এবং শেষমেশ একটা সামাজিক অসামঞ্জস্যতা তৈরি হবে।
ফলে, গরিব মানুষেরা আরও গরিব হবে। গ্রামীণ এলাকাগুলোর ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি।
গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, ‘প্রবল উষ্ণায়ন ও স্থলভাগে পানির সংকট-এই দুইয়ের যৌথ প্রভাবে গোটা পৃথিবীজুড়ে ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দশগুণ বাড়বে। আর কার্বন নিঃসরণও সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। যদি কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে কমও রাখা হয়, তাতেও বিশ্বের জনসংখ্যা ও জিডিপির ৯০ শতাংশ হুমকির সম্মুখীন হবে।’
জিয়াবো ইন বলেন, ‘আমরা অঙ্ক কষে দেখেছি এবং যন্ত্রের সাহায্যে একটি নতুন পদ্ধতিতে কার্বন বাজেটের নথি খতিয়ে দেখেছি। এভাবে উষ্ণায়ন ও পানির সংকটে বাস্তুতন্ত্রের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা খতিয়ে দেখেছি।’
তার ব্যাখ্যা অনুয়ায়ী, প্রকৃতি যখনই বিপদে পড়বে, তার সূত্র ধরে বিশ্বের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পানির সংকট ‘কার্বন সিঙ্ক’-এর ক্ষমতা হ্রাস করবে।
‘কার্বন সিঙ্ক’ হলো অরণ্য, সমুদ্র বা অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ, যা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। ফলে সেদিক থেকেও পৃথিবীর বাতাসে বিপদ ঘনিয়ে আসছে।