× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আতঙ্ক ‘অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া’

প্রবা ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:১৫ পিএম

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:২৯ পিএম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রক্তে সংক্রমণ সৃষ্টিতে সক্ষম এএমআর ব্যাকটেরিয়া। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রক্তে সংক্রমণ সৃষ্টিতে সক্ষম এএমআর ব্যাকটেরিয়া। ছবি : সংগৃহীত

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী (এএমআর) ব্যাকটেরিয়া পুরো বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক মহামারিতে রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়ে থাকতে পারে।  

সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউএইচও’র এক প্রতিবেদনের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে এবার উচ্চপর্যায়ের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ও রক্তপ্রবাহে সংক্রমণ সৃষ্টিতে সক্ষম এসেরেসিয়া কোলি ও সালমনেল্লা এসপিপি ব্যাকটেরিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমনকি এই দুই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। কারণ প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এদের বিরুদ্ধে ঠিকভাবে কাজ করছে না। 

এরই মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার ৫০ শতাংশের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ফলে সংক্রমণের শেষ অবলম্বন হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ঘটনা বাড়ছে।

ডব্লিউএইচও’স গ্লোবাল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড সার্ভেইলেন্স সিস্টেমের (গ্লাস) বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে চালানো জরিপকে বিশ্লেষণ করে এমনটা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাধারণ সংক্রমণ ঘটায় এমন ব্যাকটেরিয়ারও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অনেক সময় সাধারণ ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখও জটিল আকার ধারণ করছে।  

এদিকে গনরিয়ার মতো সংক্রামক যৌনরোগ সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়ার বিষয়েও ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে। ৬০ শতাংশেরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাধারণ মুখে সেবন করা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সিপ্রোফ্লক্সাসিন ওষুধ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। ফলে অনেক সময়ই রোগ জটিল আকার ধারণ করছে।  

এএমআর ব্যাকটেরিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন খোদ ডব্লিউএইচও’র প্রধান ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়সাস।

তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ (এএমআর) আধুনিক ওষুধকে দুর্বল করে দিচ্ছে।’ 

এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক অবস্থায় কী করা উচিত, সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এই হুমকির পরিধিকে সত্যিকার অর্থে বোঝার জন্য এবং এএমআর-এর জন্য একটি কার্যকর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করতে আমাদের অবশ্যই মাইক্রোবায়োলজি টেস্টিং বাড়াতে হবে এবং সব দেশকেই এ সংক্রান্ত ডেটা সরবরাহ করতে হবে। শুধু ধনী দেশই নয়, গরিব দেশকেও তা সরবরাহ করতে হবে।’

উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নীতিমালা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অনুন্নত দেশে এই ধরনের নীতিমালা মানা হয় না। এমনকি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করেন।

আর মাইক্রোবায়োলজি টেস্টিং অনুন্নত দেশে পর্যাপ্ত হয় না বিধায়, এএমআর বোঝার ক্ষেত্রে অনুন্নত দেশে ডেটাস্বল্পতা জটিলতার সৃষ্টি করে।   

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা বৃদ্ধির সঙ্গে কতটা সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।   

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা