প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৫ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৮:১৯ পিএম
চাঁদের দিগন্তে পৃথিবী। ছবিঃ নাসা
ওরিয়ন মহাকাশযান গত ২১ নভেম্বর চন্দ্রপৃষ্ঠের ১৩০ কিলোমিটার কাছাকাছি চলে আসে। সেখান থেকেই ওরিয়ন একটি অসাধারণ ছবি পাঠায়। যেখানে চাঁদের দিগন্তে পৃথিবীকে দেখা যাচ্ছিল।
ওরিয়নের তোলা ছবিটি নাসা তাদের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টে শেয়ার করে। মহাকাশযানটি যখন এই ছবি তোলে তখন পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ছিল প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মাইল (৪ লাখ ৩০ হাজার কিলোমিটার)।
Earthset. ????@NASA_Orion
captured this shot of Earth “setting” while the spacecraft passed close
to the Moon. Nearly 270,000 miles (430,000 km) away, #Artemis
I will soon surpass Apollo 13’s record-setting distance from Earth in a
spacecraft designed to carry astronauts. pic.twitter.com/lvDS7nGPRo
এর আগে মহাকাশে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওরিয়ন মহাকাশযান পৃথিবীর একটি চিত্তাকর্ষক ছবি ধারণ করেছিল এবং নাসার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এ ছবি ধারণের ভিডিও পোস্ট করেছিল।
যেখানে আর্টেমিস প্রকল্পে নাসার মুখপাত্র সান্ড্রা জোনসকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মহাকাশে অন্ধকারে আমাদের নীল মারবেলের (পৃথিবী) দৃশ্যগুলো এখন একটি নতুন প্রজন্মের কল্পনাকে ধারণ করছে আর্টেমিস প্রজন্ম।’
জোনস বলেছিলেন, ‘মহাকাশ যান থেকে পৃথিবীর এ দৃশ্য সবশেষ দেখা গিয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে, ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো মিশনের সময়।’
New views of
planet Earth from @NASA_Orion
as #Artemis
I journeys to the Moon. Orion is 9.5 hours into a 25.5-day test flight.
pic.twitter.com/CBaA4ZOK4X
ওরিয়নের সৌর এনার্জি ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি উইংয়ে (ডানায়) বিশেষ ধরনের ক্যামেরা লাগানো হয়েছে; যা মহাকাশযানের বাহ্যিক দৃশ্যের ছবি তুলতে সক্ষম। আর পুরো মহাকাশযানটির মধ্যে মোট ২৪টি ক্যামেরা বসানো।
ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে (১৬ নভেম্বর) সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছে ওরিয়ন মহাকাশযান বহন করা আর্টেমিস ১ মিশনের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট। মানুষের চন্দ্রাভিযানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের সফল শুরু এটি।
স্থানীয় সময় ১টা ৪৭ মিনিটে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় রকেটটিকে।
এ সময় উৎক্ষেপণটি দেখতে ফ্লোরিডার উপকূলে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। সফল উৎক্ষেপণে উচ্ছ্বসিত সবাই। নিজেদের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে লাইভে সরাসরি উৎক্ষেপণ দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল নাসা। ইউটিউবে কমেন্ট বক্সে অনেকেই নাসাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
এর আগে দুবার প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহূর্তে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎক্ষেপণ পরিকল্পনা বাতিল করে নাসা। অবশেষে উৎক্ষেপণে সফলতা অর্জন করল।
আর্টেমিস ১ মিশনের উদ্দেশ্য কেবল মহাকাশে মানুষ পাঠানো নয়। এটি চাঁদে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করে তোলার পরিকল্পনার প্রাথমিক ধাপ।
২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে ফিরতে চায় নাসা। এবার সেখানে ঘুরে আসতে নয়, স্থায়ীভাবে থাকতে চায় তারা। প্রথমবারের মতো এ মিশনে চাঁদের বুকে পা রাখবেন একজন নারী নভোচারী। এর আগে অ্যাপোলো মিশনগুলোয় কোনো নারীকে পাঠানো হয়নি।
আগের চন্দ্রাভিযানের নামকরণ হয়েছিল গ্রিক চন্দ্রদেবতা অ্যাপোলোর নামানুসারে।
এবার যেহেতু চাঁদে প্রথম নারীর পদচিহ্ন পড়তে যাচ্ছে, তাই অ্যাপোলোরই যমজ বোন আর্টেমিসের নামে এ মিশনের নামকরণ হয়েছে।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ দিয়ে শুরু হওয়া পরবর্তী পাঁচটি মিশনে মোট ১০ জন নভোচারী চাঁদের বুকে হেঁটেছেন।