প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৬ এএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪ ১২:৩১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আজ আরবি বর্ষপঞ্জির ১৪ শাবান- পবিত্র শবে বরাত। ফারসি ভাষায় ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। দুইয়ে মিলে গঠিত শবে বরাতের অর্থ ‘সৌভাগ্যের রাত’। আরবিতে এ রাতকে বলা হয় ‘লাইলাতুল বরাত’। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ রাতে তার রহমতের দরজা খুলে দেন। এই রাতটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এ রজনী পালনের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে বরাত উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত আজকের রাত মুসলিমদের জন্য নিয়ে আসে সুসংবাদ। কেননা শাবানের পরেই পবিত্র রমজান। রমজানের প্রস্তুতির শুরু তাই শবে বরাত থেকেই। শবে বরাতের রাত মুসলিমদের কাছে ভাগ্যরজনী হিসেবেও পরিচিত। হাদিস শরিফে এ রাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রজনী হিসেবে। মুসলমানদের বিশ্বাস, এ রাতে নির্ধারিত হয় পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য, নির্ধারিত হয় পরবর্তী বছরের হায়াত ও রিজিক।
হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণিত এ রাতের ফজিলত বিষয়ক একটি হাদিসে বলা হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং শিরককারী ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া অন্য সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান : ১৩/৪৮১)
শবে বরাতের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অতীতের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ইবাদত, জিকির, মিলাদ-মাহফিল, নফল নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াত করেন আগামী দিনের মঙ্গল কামনায়। মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন অনেকে। পবিত্র শবে বরাতে নানা রকম হালুয়া, ফিরনি, রুটি তৈরির প্রচলন রয়েছে। যা বিলিয়ে দেওয়া হয় পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। অনেকে রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে এ দিন রোজা রাখেন। মসজিদে মসজিদে হয় বিশেষ মোনাজাত। নিজের, পরিবার, পরিজন, দেশ ও জাতির জন্য করা হয় বিশেষ দোয়া। অনেক এলাকায় দোয়ার পর তবারক বিতরণ করা হয়।
তারাবাতি, আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানোসহ নানান আলোকসজ্জায় এ রাতে সেজে ওঠে পুরান ঢাকা। শবে বরাত উপলক্ষে পুরান ঢাকাবাসীর মধ্যে নতুন পোশাক কেনা এবং পরার চল রয়েছে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পবিত্র এই রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।