প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
এ বছর বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪০ টাকা।
রবিবার (২ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়।
এদিন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ইসলামী ফাউন্ডেশনের বিশিষ্ট মুফতি, আলেম উলামা ও জাতীয় ফিতরা কমিটির সদস্যদের নিয়ে ফিতরা নির্ধারণে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ইসলামী শরিয়াহ মতে, সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, গম, কিসমিস, পনির ও যবের যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম মাধ্যমে ফিতরা আদায় করতে হয়।
গত বছর ফিতরা ছিল জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা। এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা গত বছরের চেয়ে ৪০ টাকা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ ফিতরা গত বছরের চেয়ে ৩৩০ টাকা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, জামিয়া শরীয়াহর ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি নজরুল ইসলাম, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।