শাহীন হাসনাত
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫ ১১:১৬ এএম
প্রতীকী ছবি
ঈদ আরবি শব্দ। অর্থ খুশির দিন। মুসলমানদের জন্য দুই ঈদ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। ঈদের দিন ঈদের নামাজ ছাড়া আরও কিছু সুন্নত আমল রয়েছে। সেসব কাজের অন্যতম হলো সকাল সকাল ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বের হওয়া, ঈদের নামাজ ঈদগাহে গিয়ে পড়া, ঈদুল ফিতরে নিচু আওয়াজে তাকবির পড়তে পড়তে ঈদগাহে যাওয়া ও শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে আনন্দ প্রকাশ করা। ঈদের দিন তাকবির বলা ওয়াজিব। তাকবির হলো ‘আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ এটাকে তাকবিরে তাশরিক বলে।
যেহেতু বছরে মাত্র দুবার ঈদের নামাজ, তাই এ নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতায় পড়তে হয়। নামাজে দাঁড়িয়ে ডানে-বাঁয়ে চুপিসারে তাকিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়। ফলে অনেকেরই ঈদের নামাজ হয় না। তাই পাঠকের সুবিধার্থে এখানে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলো।
কোনো নামাজের নিয়তই আরবিতে করা জরুরি নয়। যেকোনো ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে মনে মনে এ নিয়ত করবেন, ‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এ ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’ এরপর উভয় হাত কানবরাবর উঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধতে হবে। হাত বাঁধার পর সানা ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা...’ শেষ পর্যন্ত পড়বেন। এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দেবেন। ইমাম তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যেকোনো সুরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এরপর ইমাম নিয়মমতো রুকু-সিজদা আদায় করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমামের অনুসরণ করবেন। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম প্রথমে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সুরা পড়বেন। এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।
ঈদের নামাজ শেষে ইমাম খুতবা পড়বেন। মুসল্লিদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবার সময় কথাবার্তা, চলাফেলা ও নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। অনেক জায়গায় খুতবার সময় টাকা কালেকশন করা হয়, এটা শরিয়তবিরোধী কাজ। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যেকোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে একাকী তা আদায় বা কাজা করার সুযোগ নেই। তবে চার বা ততোধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেওয়া ওয়াজিব।