আতিফ রাসেল
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫ ১৯:১০ পিএম
ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়কের পাশে সবুজ প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত পলিশা বায়তুন নূর জামে মসজিদ। প্রবা ফটো
ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়কের পাশে সবুজ প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত পলিশা বায়তুন নূর জামে মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশের কারণে মসজিদটি এলাকাবাসী ও পথচারীদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
প্রয়াত ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম ফরিদের একান্ত প্রচেষ্টায় মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালে পারিবারিক উদ্যোগে টিনের ঘর দিয়ে মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২০ সালে পাকা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়। মসজিদের নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, মসজিদসংলগ্ন একটি মাদ্রাসাও পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে নুরানি, হিফজ ও কিতাব বিভাগ চালু রয়েছে। মাদ্রাসাটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিলেবাস অনুসারে পরিচালিত হয়।
মসজিদের প্রধান ইমাম মুফতি মুস্তাকিম বিল্লাহ্ মাহমুদী জানান, মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ও দানশীল ব্যক্তি। বর্তমানে তার পরিবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে মসজিদের যাবতীয় ব্যয় বহন করছে। তার ভাই, ভাতিজি ও ছেলে নিয়মিত মসজিদের দেখভাল করেন।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা হাসান বলেনন, ‘এ মসজিদের পরিবেশ খুবই প্রশান্তিকর, নামাজ পড়লে মন শান্তি পায়।’ আরেক মুসুল্লি কামাল বলেন, ‘এখানকার সুব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আল্লাহর ঘর হিসেবে এটি সত্যিই অনন্য।’
পলিশা বায়তুন নূর জামে মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়, এটি এক অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন ও ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র, যা ইসলামি মূল্যবোধ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।