প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন মুসলমানদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই মাসে বিশেষ কিছু আমল করতেন, যা তাঁর অনুসারীদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে ইফতারের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল পালন করতেন তিনি, যা রোজাদারদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, ইফতারের আগে মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করতেন। তিনি এই সময় ইবাদতে মনোযোগী হতেন এবং মাগফিরাত কামনা করতেন। ইফতারের সময়টি দোয়া কবুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তাই রোজাদারদের উচিত ইফতারের আগে আল্লাহর কাছে নিজেদের প্রয়োজন ও ইহকাল-পরকালের কল্যাণের জন্য দোয়া করা।
নবী করিম (সা.) ইফতারের সময় তাড়াতাড়ি করতেন এবং সাহরির সময় দেরি করতেন। ইফতার করার আগে তিনি সাধারণত হাত তুলে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতেন এবং আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের জন্য শুকরিয়া আদায় করতেন। হাদিসে এসেছে, তিনি সাধারণত খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করতেন। খেজুর না পেলে তিনি কিছুমাত্র পানি পান করতেন। এটি শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী এবং তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।
রমজানে দান-সদকা করাও নবীজির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল ছিল। বিশেষ করে ইফতারের সময় তিনি অন্যদের খাওয়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে একই পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। তাই রমজান মাসে গরিব-দুঃখীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।
এছাড়া, ইফতারের আগে মহানবী (সা.) বেশি বেশি ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করতেন এবং পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করতেন। তিনি সাহাবিদেরও বেশি বেশি ইবাদতের জন্য উৎসাহিত করতেন।
তাঁর এই মহান সুন্নতগুলো অনুসরণ করে মুসলমানরা ইফতারের মুহূর্তগুলোকে আরও বরকতময় করে তুলতে পারেন এবং আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের আশা করতে পারেন।