প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ১২:৪২ পিএম
প্রতীকী ছবি
রমজান মাসে রোজা রাখার সময় অনেকের মনে প্রশ্ন আসে, স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা রাখা যাবে বা রোজা ভেঙে যাবে কি না। ইসলাম যা বলে এই বিষয়ে-
ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, স্বপ্নদোষ (স্বপ্নে বীর্যপাত) হলে রোজা ভাঙে না। কারণ এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত একটি বিষয়। ঘুমন্ত অবস্থায় কেউ নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বপ্নদোষের শিকার হলে তার রোজার কোনো ক্ষতি হয় না এবং তিনি যথারীতি রোজা পালন করতে পারবেন।
হাদিসে এসেছে, "নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল-ভ্রান্তি, ভুলক্রমে হওয়া কাজ এবং অনিচ্ছাকৃত বিষয়গুলো ক্ষমা করেছেন।" (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২০৪৩)
স্বপ্নদোষ এমনই একটি বিষয়, যা মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই, তাই এটি রোজার জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
স্বপ্নদোষ হলে করণীয়
গোসল (গোসল ফরজ হবে) – যদি স্বপ্নদোষে বীর্যপাত হয়, তবে ফজরের আগেই গোসল করে পাক-পবিত্র হয়ে নামাজ পড়তে হবে।
রোজা চালিয়ে যেতে পারবেন – স্বপ্নদোষের কারণে নতুন করে সেহরি খাওয়া বা রোজা শুরু করা জরুরি নয়।
গোসল বিলম্ব হলেও সমস্যা নেই – কেউ যদি স্বপ্নদোষের কারণে ফজরের পর গোসল করেন, তাহলেও তার রোজা বিশুদ্ধ থাকবে।
যদি রোজার দিনে বীর্যপাত হয়
ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত (হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো উপায়ে) করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাফফারা দিতে হবে। স্বপ্নদোষ বা অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙবে না।
স্বপ্নদোষ স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া, যা মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই এটি রোজার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে স্বপ্নদোষ হলে নামাজের জন্য অবশ্যই গোসল করে পবিত্র হতে হবে, কিন্তু রোজা ঠিকই বহাল থাকবে।