গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা জুবায়ের। মোনাজাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের ইজতেমার জন্য প্রশাসন মাঠ বুঝে নেবে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি)।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে ইজতেমার মূল মঞ্চ থেকে দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। মোনাজাত চলে ১৯ মিনিট। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয় মোনাজাতে। এ সময় লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান। মোনাজাত শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ছোটেন মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ। এর আগে সকালে বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ভাই ফারুক সাহেব। এরপর হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান।
এ সময় যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হবেন তাবলীগের সফরে তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বয়ান দেওয়া হয়। এই বয়ানের পরে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা।
মোনাজাত শেষে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা ও সফরে বের হওয়া মুসল্লিদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে টঙ্গি জাংশনে রাখা হয় ১১টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা।
ভোর থেকে মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইজতেমার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সাধারণ গণপরিবহন নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়। তবে বিআরটি রুট দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।
ইজতেমার অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারীদের তিনদিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হবে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। আগামী বছর থেকে টঙ্গিতে ইজতেমা করতে পারবে না- এমন শর্তে এ বছর তারা ইজতেমা আয়োজন করতে পারছে।