প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৩ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:১২ পিএম
ট্রান্সজেন্ডার ব্লগার হিলমি ফর্কস। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
হিলমি ফর্কস নামে পরিচিত এক রুশ ট্রান্স ব্লগারকে অবৈধ পর্নোগ্রাফিসামগ্রী তৈরি ও বিতরণের সন্দেহে মস্কোতে আটক করা হয়েছে বলে বুধবার (১২ জুলাই) এক ঘোষণায়
জানিয়েছেন রাশিয়ার সেফ ইন্টারনেট লিগের প্রধান ও রুশ সিভিক চেম্বারের সদস্য একেতেরিনা
মিজুলিনা।
একেতেরিনা তার বক্তব্যে হিলমিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ
নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশংসাও করেছেন।
ট্রান্সজেন্ডার ব্লগার হিলমি ফর্কসকে যেসব ফৌজদারি অভিযোগে আটক করা
হয়েছে, তা যদি প্রমাণিত হয়– ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। রাশিয়ার
ট্রান্স কমিউনিটিতে হিলমি একজন পরিচিত মুখ। ইনস্টাগ্রামে তার ৪ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে এলজিবিটির যেকোনো ধরনের প্রচারণা রাশিয়াতে
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অপ্রথাগত যৌনসম্পর্ক প্রচারের
বিষয়ে উদ্বেগের কথা বলে আসছে খোদ রুশ প্রশাসন।
তাই এলজিবিটি প্রচারের অভিযোগ থেকে বাঁচতে সে সময়েই হিলমি রাশিয়া
ছেড়ে আর্মেনিয়া পালিয়ে যান। আর্মেনিয়াতে বেশ কিছু দিন থাকার পর তিনি আবারও চলতি মাসের
শুরুর দিকে মস্কোতে ফিরে আসেন।
যদিও কী কারণে আবার গ্রেপ্তারের হুমকি মাথায় নিয়ে তিনি মস্কো ফিরেছেন,
তা জানা যায়নি। তার এই অল্প দিনের অবস্থানেই তিনি মস্কোর এক ফাস্টফুডের দোকানে একজন
ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। পরে পুলিশ আসার আগে ব্যক্তিটি সেখান থেকে সরে যান।
হিলমি দাবি করেছিলেন, লোকটি দ্বারা সে লাঞ্ছিত হয়েছিল।
তবে সেখান থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ ব্লগার হিলমির দাবিকে মোটেও সমর্থন
করে না। উল্টো সেই লোকটিকে লাথি মারছিল। মস্কো পুলিশ এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো রাশিয়ার নেওয়া সিদ্ধান্তকে ট্রান্স বিদ্বেষ
বললেও তা মানতে নারাজ রুশ কর্তৃপক্ষ। ক্রেমলিন পূর্বেও বলেছিল, ট্রান্সজেন্ডারদের ব্যক্তিগত
জীবনে হস্তক্ষেপ করার পক্ষে নয় তারা। কর্তৃপক্ষ কেবল এর অপ্রাসঙ্গিক প্রচার রোধ করতে
চায়।
সূত্র : রাশিয়া টুডে