মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ২৩:২২ পিএম
টোয়ার্ডস গোল্ডেন বেঙ্গল : থটস অব ট্যাগোর অ্যান্ড বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ভাবনাগুলোর মধ্যকার যোগসূত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। ‘টোয়ার্ডস গোল্ডেন বেঙ্গল : থটস অব ট্যাগোর অ্যান্ড বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার এসব কথা বলেন।
সোমবার (১২ জুন) কলকাতা প্রেস ক্লাবে ড. আতিউর রহমান রচিত ও জার্নিম্যান পাবলিশার্স হতে প্রকাশিত বইটির মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করা হয় কলকাতা প্রেস ক্লাব এবং অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ক্যালকাটা-কলিংয়ে।
এতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমিত শোভন রায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, টেকনো-ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-চেয়ারপারসন অধ্যাপক মানসী রায় চৌধুরী, প্রখ্যাত সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, এবং কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) রঞ্জন সেন প্রমুখ।
পবিত্র সরকার বলেন, আজকের অস্থির সময়ে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর আর্থসামাজিক উন্নয়ন চিন্তাগুলো বিশেষ করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এই প্রাসঙ্গিকতাকে সহজবোধ্যভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে ড. আতিউর বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে অতুলনীয় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, গ্রন্থটিতে রবীন্দ্রনাথ কিভাবে স্বদেশের প্রতি দায়বোধের জায়গা থেকে পূর্ববাংলার কৃষকের কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন এবং তাদের মধ্যে আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলায় মনোনিবেশ করেছিলেন তা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুও কীভাবে দেশবাসীর আর্থসামাজিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে উজ্জীবিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন তাও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
অধ্যাপক অমিত শোভন রায় বলেন, স্বাধীনতার পর পর যে বিপুল প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশের সামনে ছিল তা অতিক্রম করে দেশটিতে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে, বিশেষত বিগত ১৫ বছরে আর্থ-সামজিক সূচকগুলোতে বাংলাদেশের যে সাফল্য, তা অবশ্যই নিজস্ব তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট থেকে বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
ড. আতিউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ একজন সাহিত্যিকের চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। নিজের সামাজিক উন্নয়নের ভাবনাগুলোকে বাস্তব জীবনে কৃষির আধুনিকীকরণ, বাস্তবমুখী শিক্ষা, নারী শিক্ষা, এবং লোকজ সংস্কৃতি সংরক্ষণের মতো উদ্যোগে প্রতিফলিত করতে সচেষ্ট ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের একজন অনন্য অনুরাগী ছিলেন এবং এমনকি কারাগারেও তিনি রবীন্দ্রনাথের বই সাথে নিয়ে যেতেন। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তার প্রেরণার অন্যতম মহৎ উৎস। কাজেই শিক্ষা, কৃষি, পরিবেশসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে এই মহান বাঙালি ব্যক্তিত্বের চিন্তা ও কর্মের যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তা প্রত্যাশিত।