× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আরব আমিরাতে কারখানায় আগুনে প্রাণ গেল তিন বাংলাদেশির

নোয়াখালী প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩ ০৮:৫০ এএম

আপডেট : ৩১ মে ২০২৩ ১০:৫০ এএম

আরব আমিরাতে কারখানায় আগুনে প্রাণ গেল তিন বাংলাদেশির

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফার্নিচারের কারখানায় ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালের দিকে আমিরাতের শারজাহ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের পলতি তারাবাড়িয়া গ্রামের আবু তাহের পাটোয়ারী বাড়ির মো. ইউসুফ, বড়বাড়ির তারেক হোসেন বাদল ও পলতি হারিছ মিয়ার বাড়ির মো. রাসেল।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে তিনজনের পরিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পারে। এরপর বেলা ১১টার দিকে নিহত ইউসুফের ছোট ভাই ইমরান হোসেন আবুধাবি থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পান। এতে তিন পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজন, প্রতিবেশী ও শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসেন তিন বাড়িতে।

তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানতে পারেননি স্বজনরা।

নিহত ইউসুফের ছোট ভাই গোলাম রসুল বলেন, ‘স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কারখানায় আগুন লাগে। ওই ঘটনায় আমার ভাইসহ আমাদের ইউনিয়নের আরও দুজন দগ্ধ হয়ে মারা যান।’

তিনি জানান, শারজাহ শহরে একটি ফার্নিচার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন ইউসুফ। ২৫ বছর ধরে আমিরাতে প্রবাসজীবন কাটানো ইউসুফ সবশেষ দেশে এসেছিলেন পাঁচ বছর আগে।

রসুল বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানতে পারিনি। আমার ভাইসহ নিহত তিনজনের লাশ দেশটির পুলিশের হেফাজতে আছে। সেখানে থাকা স্বজনরা দূতাবাসের মাধ্যমে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।’ এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।

নিহত বাদলের বাবা মীর আহাম্মদ জানান, আট মাস আগে ইউসুফের ফ্যাক্টরিতে কাজ নিয়েছিলেন বাদল। তার দুই ভাই প্রতিবন্ধী। তার তিন ছেলে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাদলের মৃত্যুতে আমরা অসহায় হয়ে পড়লাম।’

একই কারখানায় চাকরি করতেন রাসেলও। তার চাচা সাহাব উদ্দিন বলেন, গত বছরের এপ্রিলে ধারদেনা করে ও কিস্তি নিয়ে ইউসুফের সোফা ফ্যাক্টরিতে যান রাসেল। তার নিজের কোনো ভূমি বা বসতঘরও নেই। তার মা, স্ত্রী ও এক সন্তান আরেক চাচার ঘরে থাকেন। কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে পারেননি রাসেল। রাসেলের কন্যাসন্তানও প্রতিবন্ধী। রাসেলের মৃত্যুতেও পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।

ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বলেন, ‘আমিরাতে ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আমার ইউনিয়নের মতইন ও পলতি তারাবাড়িয়া গ্রামের তিন প্রবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ আনতে তাদের পরিবার সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।’

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘তিন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। আমিরাতে অবস্থানরত নিহতদের স্বজনরা দূতাবাসের মাধ্যমে লাশগুলো দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তবে নিহতের বিষয়ে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা থানায় কিছু জানাননি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা