প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩ ১৫:০১ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৩ ১৬:৪৩ পিএম
রবীন্দ্র উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ ইউএসের আয়োজনে সম্প্রতি ’আমিই রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ চরিত্র’ শীর্ষক এক রম্য বিতর্ক অনুষ্ঠান হয়েছে। নিউইয়র্কের জামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত রবীন্দ্র উৎসবের শেষ দিন (৭ মে) এই রম্য বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস অবলম্বনে তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নিয়ে অমিত-লাবণ্য, মহেন্দ্র-বিনোদনী ও রমেশ-হেমনলিনী চরিত্র অবলম্বনে বক্তব্য দেন আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশের সাবেক বিতার্কিকরা। এতে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের সহকারী অধ্যাপক ড. তারান্নুম শায়লা জামান প্রত্যাশা, টেক্সাসের এসএফএ স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজ খান, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সামছুন নাহার নূপুর, মেরিল্যান্ডে অবস্থানরত অ্যাটর্নি রাজু মহাজন ও ভার্জিনিয়ায় অবস্থানরত আর্কিটেক্ট সাঈদা সাথী।
কবিগুরুর স্মরণে এই উৎসবে আবৃত্তি, সেমিনার, নাটক, প্রামাণ্যচিত্র, ফ্যাশন শো ও রম্য বিতর্কসহ ছিল ৫৪টি ক্যাটাগরি। তবে উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল আমিই রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি শীর্ষক রম্য বিতর্ক। আমেরিকায় বসবাসকারী ১ হাজারেরও বেশি বাঙালি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই উৎসবের বিভিন্ন আয়োজন উপভোগ করেন।
প্রীতি বিতর্ক শেষে সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তার এক জীবনে যা লিখেছেন, তা এক জীবনে পড়ে শেষ করা যাবে না। চিন্তায়, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে, রাজনৈতিক ভাবনায়, খাদ্যাভ্যাসে, পোশাক-পরিচ্ছদ সবকিছুতেই বাঙালির জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রবীন্দ্র-ভাবনা। রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে তার সৃষ্টিগুলোকে বুঝতে হবে। রবীন্দ্রনাথ তার সৃষ্টির মাধ্যমেই অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন।’
এর আগে দুই দিনব্যাপী উৎসবের ৬ মে উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা পদক পাওয়া বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার, ভারতীয় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক চন্দ্রিল ভট্টাচার্য, রবীন্দ্র উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা ডা. জিয়াউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নিউইয়র্কস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কনস্যুল জেনারেল রণধীর জেসওয়াল, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনস্যুল জেনারেল ড. মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, সম্মিলিত সংস্কৃতি জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসবের কনভেনার হাসানুজ্জামান সাকী।