ইউএই প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩৬ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩ ২০:১৩ পিএম
মৃত তিন প্রবাসী মোহাম্মদ আলমগীর, আব্দুল হালিম ও মিজবা উদ্দীন। প্রবা ফটো
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তিন প্রবাসীর মরদেহ চট্টগ্রামের নিজবাড়িতে পৌঁছেছে। মৃত তিন প্রবাসী হলেন—মিজবা উদ্দীন, মোহাম্মদ আলমগীর ও আব্দুল হালিম। তারা আমিরাতের তিনটি আলাদা প্রদেশে থাকতেন। চলতি মাসে তিন দিনের ব্যবধানে মারা যান তারা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছায় মরদেহগুলো।
মরদেহ তিনটি দেশে পাঠাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। অর্থবহন ও সার্বিক সহযোগিতা করেছে আমিরাতের চকরিয়া প্রবাসী ফোরাম ও চকরিয়া প্রবাসী সোসাইটি।
মিজবা উদ্দীন চট্টগ্রামের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি সাড়ে তিন বছর আগে আরব আমিরাতে যান। কাজ করতেন একটি বোরকার প্রতিষ্ঠানে। ২২ মার্চ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর এক দিন আগে দেশটির রাস আল খাইমাহ প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান একই উপজেলার আরেক প্রবাসী মোহাম্মদ আলমগীর। দুই বছর আগে আরব আমিরাতে যান তিনি। কাজ করতেন ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে। তিনি একই উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারা এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
এ ছাড়া আব্দুল হালিম ২৩ মার্চ আমজান প্রদেশের আমানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । তিনিও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ভরন্যার চরের আব্দুল হাকিমের ছেলে। ১৬ বছর ধরে আমিরাতে কাঠমিস্ত্রি পেশায় জড়িত ছিলেন তিনি।
আমিরাতের চকরিয়া প্রবাসী ফোরাম সভাপতি হুমায়ুন কবির ইসহাক ও সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ঈসা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের চকরিয়ার এই তিন প্রবাসীর মরদেহ দেশে পাঠাতে অর্থবহন ও সার্বিক সহযোগিতা করে আমিরাতের চকরিয়া প্রবাসী ফোরাম ও চকরিয়া প্রবাসী সোসাইটি। আরব আমিরাতে মরদেহের যাবতীয় কাজ শেষে গত বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় তাদের জানাজা হয়। পরে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে তাদের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়।’
তারা আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ওই তিন প্রবাসীর মরদেহ গ্রহণ করেন সংগঠনের আইন উপদেষ্টা আইনজীবী আহমেদ মিরাজ। বেলা ২টায় চকরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় দফায় জানাজা হয়। সেখানে স্থানীয় চকরিয়া পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের উপস্থিতিতে প্রবাসীদের মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও দাফন করা হয়।