প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২০:৪২ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২১:৪৮ পিএম
ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংগৃহীত ফটো
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে সৌদি সরকার। সার্বিক সহায়তা করছে জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট। বুধবার (২৯ মার্চ) কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রমকল্যাণ) মো. আরিফুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার শিকার বাসে যাত্রী ছিলেন ৪৭ জন। বাংলাদেশি ছিলেন ৩৪ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজ আছেন পাঁচজন। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আহতদের মধ্যে চারজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১২ জন। চিকিৎসাধীনদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে সৌদি সরকার। তাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সার্বিক সহায়তা করছে কনস্যুলেট।
কনস্যুলেটের দেওয়া তথ্যমতে, নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের রনি, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন, নোয়াখালীর সেনবাগের শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের রুক মিয়া।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, চট্টগ্রামের সিতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলার বুরহান উদ্দিনের আল আমিন, লক্ষ্মীপুর রায়পুরার মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার জুয়েল, মাগুরার শালিকার আফ্রিদি মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের মো. রিয়াজ, রানা, নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের ইয়ার হোসাইন, একই এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মোহাম্মদপুরের মিজানুর রহমান, যশোরের কোতোয়ালির মো. মোশাররফ হোসাইন।
চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী, মোহাম্মদ কুদ্দুস ও মো. সেলিম।
গত সোমবার সৌদি আরবে ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। ব্রেক ফেইল করে একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজের খবরে বলা হয়।
জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পথে বাসটি গভীর খাদে পড়ে যায়। দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, বাসটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলোর চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে।