নোমান সাবিত, নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র)
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৯ এএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০২ পিএম
বিসিআইইউ বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিসিআইইউর সভাপতি পিটার টিচানস্কসহ অন্যান্যরা। প্রবা ফটো
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্টান্ডিং (বিসিআইইউ) সংগঠন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক বৈঠক করেছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের হারভার্ড ক্লাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিসিআইইউর সভাপতি পিটার টিচানস্ক, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) তৌফিক ইসলাম শাতিলসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে, দারিদ্র বিমোচন, তথ্যপ্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানিকে আরও বহুমুখী ও প্রসারিত করার উপর জোর গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সিরামিক সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি মেট্রোরেল উদ্বোধনসহ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার এক উদাহরণ। আঞ্চলিক কানেকটিভিটি হাবে পরিণত হওয়া, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রমবৃদ্ধি, ভূ-রাজনৈতিকভাবে কৌশলগত অবস্থান, জনমিতিগত সুবিধা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়ন, বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ও ট্যাক্স বর্হিভূত সুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগ বান্ধব গন্তব্য। সরকার পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ ও হাই-টেক পার্ক নির্মাণ ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে আরও গুরুত্বসহকারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করার আমন্ত্রণ জানাই। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণশিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রিক ভেহিকেল, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও স্বাস্থ্য খাতগুলোর কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করা যায়।’
উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা ও অর্জনের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের জনগণের অদম্য স্পৃহা, ইতিবাচক মনোভাব, ব্যবসায়িক উদোগ ও সৃজনশীলতায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করতে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আগামী ১১-১২ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ব্যবসা সম্মেলনের আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।