নোমান সাবিত, ওয়াশিংটন ডিসি (যুক্তরাষ্ট্র)
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৫ এএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৮ পিএম
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রবা ফটো
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এ দিবস পালন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান একুশের প্রথম প্রহরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পর্যায়ক্রমে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন। তারপর দিবসটি স্মরণে এক প্রভাতফেরীর আয়োজন করে দূতাবাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে নির্মিত দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের শহিদের আত্মার মাগফেরাত ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাঙালি জাতির জন্য বাতিঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে অবদান রাখতে ও নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত, প্যারাগুয়ে, ঘানা ও নেপাল, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে অতিথিদের মুগ্ধ করেন।
কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল-১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মো. আব্দুল হাই মিল্টন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।