করোনার সম্মুখযোদ্ধা
ইউএই প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫১ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৭ পিএম
গোল্ডেন ভিসা অর্জনকারী সাংবাদিক মামুনুর রশীদ। ছবি সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাত সাংবাদিক মামুনুর রশীদকে দশ বছরের গোল্ডেন ভিসা দিয়েছে। করোনার সময় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে মাঠে কাজ করায় দেশটি তাকে এই ভিসা দেয়। এর আগে ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, শিক্ষক, মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই ভিসায় সম্মানিত করলেও দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিক হিসেবে তিনিই প্রথম এই ভিসা পেলেন।
মামুনুরের বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। তিনি দুবাইয়ের হ্যারিয়েট ওয়াট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা শেষ করে ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলের আমিরাত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামুনুর বলেন, ‘আমরা ১৯ জনের কোভিড টিমের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আমিরাত সরকার আমাকে সম্মানিত করেছে । এই সম্মান আমিরাতে বসবাসরত সব প্রবাসীর। এতে করে দেশের বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’
তিনি বলেন, ‘‘২০২০ সালের মার্চ মাসে দুবাইয়ের নাইফ এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন দেয়া হয়। ওই সময় সবাই যখন আত্মরক্ষায় ঘরমুখী তখন প্রবাসীদের সচেতন করতে প্রতিদিন আমিরাত সরকারের দিকনির্দেশনার সংবাদ পরিবেশন করা শুরু করি। পাশাপাশি দুবাই প্রশাসনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে লকডাউন এলাকায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিশ্চিত করতে ‘বাংলা এক্সপ্রেস টিম’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করি। স্বেচ্ছাসেবী দলটি একমাসে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশিকে সেবা দিয়েছিল।’
বাংলা এক্সপ্রেস কোভিড টিমের সদস্য শামসুন নাহার স্বপ্না বলেন, ‘আমরা করোনার সময় প্রবাসীদের সেবায় দিনরাত কাজ করেছি। লকডাউন শেষ হলেও কাজ চালিয়ে গেছি। করোনায় আক্রান্ত প্রবাসীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো, খাদ্য সামগ্রীর বিতরণসহ যাবতীয় কাজ করতো বাংলা এক্সপ্রেস কোভিড টিমের সদস্যরা। করোনা পরবর্তী সময়ে দুবাই সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্মান আমরা আনন্দিত।’
রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠন মাঠে কাজ করেছে। বিশেষ করে করোনা রোগীদের সেবা গ্রহণে সহযোগিতা, খাদ্য পৌঁছে দেওয়াসহ সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে তারা কাজ করেছেন। মামুনুর রশীদও তাদের মতো একজন। তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আমিরাত সরকার তাকে সম্মানিত করেছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে ভালো কাজ করছে আমিরাত সরকারি, ব্যক্তিবিশেষ ও প্রতিষ্ঠান জানতে পেরেছে। এই কাজগুলোর কারণে ভিনদেশীদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা তৈরি হচ্ছে।’