ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২৬ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৪৪ পিএম
বুধবার ঠাকুুরগাঁওয়ের গ্রামের বাড়িতে আনোয়ারের মরদেহ আনার পর স্বজনদের ভিড়। প্রবা ফটো
সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে এক মাসের মাথায়
২০২২ সালের ৩০ জুলাই ঘুমের ঘোরে মৃত্যু হয় আনোয়ার হোসেনের। মৃত্যুর খবর দেশের বাড়িতে
তার স্ত্রী ও স্বজনেরা জানতে পারেন দুদিন পর। এরপরে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই জয়নাল আবেদিন
মরদেহ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের
পর মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় এবং যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই
কেটে গেছে যায় সাড়ে পাঁচ মাস।
অবশেষে বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে আনোয়ার হোসেনের মরদেহ পেয়েছেন স্বজনেরা। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে।
বুধবার দুপুরে আনোয়ারের জানাজা শেষে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া দক্ষিণ পাড়া সইদিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, ‘আমাদের দুই সন্তান। ছেলে আর মেয়ে। ছেলের বয়স আট বছর আর মেয়ের বয়স তিন মাস। উনার (আনোয়ার) সৌদি আরবে যাওয়ার সাত মাস হইল। যাওয়ার সময় ছয় লাখ টাকা খরচ হয়। এক মাস না হইতে ঘুমের ঘোরে তিনি মারা যান। আর কোনো বেতন পাননি। যে কোম্পানি থেকে গেছে সেখান থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। এখন এই দুই সন্তানকে নিয়ে কী করব আমি।’
আনোয়ারের বড় ভাই জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মৃত্যুর খবরের পর থেকে আত্নীয়-স্বজন পরিবারের সদস্যসহ সবার শোকের মাতম চলছে। মরদেহ না পাওয়াতে শোক বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়ে পড়েছিল। শত বাধা বিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মরদেহ দেশে আনতে পেরেছি। ভাইকে দাফন করেছি কবরস্থানে। আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই।’
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মারা যাওয়ার খবর শুনেছিলাম। তবে মরদেহ দেশে এসেছে কি না তা জানা নেই। বিদেশে কেউ মারা গেলে মরদেহ আনতে অনেক সময় লাগে।’