প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৬ পিএম
সৈয়দ ফয়সাল আরিফ। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের কেমব্রিজ শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সাল আরিফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বজনের আহাজারি আর প্রবাসীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ৭ জানুয়ারি বাদ জোহর বস্টনের রক্সবিউরি মসজিদে জানাজা শেষে আরিফের মরদেহ দাফন করা হয় ৬৭০ রক্সবিউরিটিতে অবস্থিত গোরস্থানে।
মা-বাবার একমাত্র ছেলে আরিফ বছর সাতেক আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ পড়ালেখা করছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্টের বস্টন ক্যাম্পাসে।
আরিফের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে কেমব্রিজ শহরের চেস্টনাট স্ট্রিটে বুধবার দুপুরে। হটলাইনে পুলিশ খবর পায়, এক তরুণ ছোরা হাতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে বেরিয়েছে। এরপর সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয় এবং তাদের গুলিতে প্রাণ যায় আরিফের।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে কেমব্রিজ শহরের বাসিন্দারা।পু লিশের গুলিতে আরিফের মৃত্যুর ঘটনাকে প্রবাসীরা দাবি করেন ‘পুলিশি হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে।
আরিফের জানাজায় অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, দুপুরে কলেজে যাওয়ার জন্য আরিফ তার বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ফলে তিনি জানালা দিয়ে বেরিয়েছেন, খালি গায়ে রাস্তায় ছিলেন, এসব তথ্য তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না।
তাদের ভাষ্য, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে পুরো বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
আরিফ ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার কেমব্রিজ সিটি হল প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা, তাতে অংশ নেয় আরিফের সহপাঠীরাও।