উপজেলা নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪ ২০:২৭ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪ ২১:২৫ পিএম
উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও কঠোর অবস্থানে থাকছে ভোট বয়কট করা বিএনপি। এর অংশ হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ায় ৬১ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি।
বিএনপি বলছে, দলের নির্দেশনার পরও তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা বিএনপির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে।
এর আগে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৫ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নেতাদের বৃহস্পতিবার (২ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
বিএনপির অনেকের অভিমত— দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকটাই বিপর্যস্ত ও হতাশাগ্রস্ত। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে এভাবে বহিষ্কারের ঘটনায় তৃণমূলে নতুন করে হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে; যা আগামীতে সংগঠনের জন্য বুমেরাং হতে পারে। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে কিছু নেতা বহিষ্কার হলেও তাতে তাদের দলের কোনো ক্ষতি হবে না। বিএনপির তৃণমূল অত্যন্ত প্রাণবন্ত। সেখানে কোনো হতাশা নেই। তারা আরও বলছেন, যারা ভোটে রয়েছেন, তারা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচন করছেন, তারা সুবিধাবাদী লোক।