প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৩ পিএম
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে। প্রবা ফটো
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রী ও ঘনিষ্ঠজনদেন দুর্নীতি, লুটপাট লুকিয়ে রাখার জন্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নাকি প্রবেশ নিষেধ! কেন? ব্যাংকে কত টাকা লুট হয়েছে? এ লুটকারীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রী না হলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন। এ লুট ও দুর্নীতির তথ্য যাতে সাংবাদিকরা না পায়, এ কারণে ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢোকা নিষেধ করেছে। কারণ যারা অপরাধী তারা পাপকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তাদের দুর্নীতি লুটপাট লুকিয়ে রাখার জন্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যলয়ের সামনে সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দের আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির লোকজন, যারা সত্যের পথে কথা বলে তারা আজ কারাগারে। যারা ব্যাংক ডাকাতি করছে লুটপাট করছে নদী-নালা খাল বিল দখল করছে অন্যায় অবিচার দুর্নীতি করছে তারা আজ দুর্দান্ত প্রতাপে সারা দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এটা প্রমাণিত।
এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারা দেশের জনগণের ঘর-বাড়িও বিক্রি করে দেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ সরকার লুটপাটের সরকার। দুর্নীতির সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণের ঘরবাড়িও বিক্রি করে দেবে। এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার ক্ষমতায় থাকবে এটা কি আমাদের দেখতে হবে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই কণ্ঠকে আরও জোরাল করতে হবে। যাতে এ সরকারের হৃদকম্পন হয় সে আওয়াজ তুলতে হবে।
রিজভী বলেন, এ খরতাপে আগুনের মতো পরিবেশে আপনারা আপনাদের কণ্ঠকে উচ্চারিত করেছেন এরকম যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার আগ পর্যন্ত সংগ্রাম করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, গতকাল আমি একটু বক্তব্য দিয়েছিলাম যে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বন্ধ করে রেখেছে পার্শ্ববর্তী একটা দেশে। তো বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান একটি প্রশংসামূলক কথা বলেছে এ জন্য ওবায়দুল কাদের খুবই আনন্দিত। ওবায়দুল কাদের বলেছেন পাকিস্তানও আমাদের প্রশংসা করে। আর তারা বলে পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির পিরিত। বিএনপি যা বলে সত্য বলে স্পষ্ট বলে। আর ওরা (আওয়ামী লীগ) বলে তলে তলে।
‘ওরা পিরিত করে তলে তলে। এটা ওবায়দুল কাদের ভাষা আমাদের ভাষা না। ওরা তলে তলে পিরিত করে কারণ ওরা অবৈধ। ওদের কোনো নীতি নাই ওদের নীতি আছে লুটপাট দুর্নীতি বিদেশে টাকা পাঠানো।’
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে চিরদিনের জন্য বাকশাল কায়েম করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়ব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক সওগাত উল ইসলাম সগির, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বিরসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।