উপজেলা নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৪ পিএম
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এরই অংশ হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে দলটি। তবে এরই মধ্যে যেসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাদের তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় দলটি। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে যারা এখনও ভোটে রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত রয়েছে। ৬৪ পদধারী নেতার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ৩৮ নেতাকে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়। বুধবার রাত পর্যন্ত আরও ২৬ নেতাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৩৪টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পদধারী নেতারা মাঠে আছেন। তাদের মধ্যে আট উপজেলায় ১৯ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৪টি উপজেলায়। তার মধ্যে চার উপজেলায় ১০ নেতা ভোটে রয়েছেন। মোট ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ৯ নেতা প্রত্যাহার করে নেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯টি উপজেলায় প্রার্থী ছিলেন ২০ নেতা। এর মধ্যে একজন প্রত্যাহার করেছেন, এখনও ভোটে আছেন ১৯ জন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠি ৬৪ নেতাকেই দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এমন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।