প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৭ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রবা ফটো
দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার কণ্ঠে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক নাগরিক শোক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই শোকসভা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ হয়ে গেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করার আর অবশিষ্ট কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর নামমাত্র নেই। ভয়াবহ শাসনের মধ্যে পড়েছে দেশ। অবলীলায় হত্যা ও গুম করা হয় এখানে। লুটপাট করে দেশের সংবিধান, নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বর্তমান সরকারকে দানব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, জীবন দিয়েও দানবকে সরানো যাচ্ছে না। তাই প্রয়োজন এখন সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যারা ন্যায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান, গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করতে চান, তাদের প্রত্যেককে এক হয়ে শুধু রাজপথে নেমে নয়, সোচ্চার কণ্ঠে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকি দিতে হবে। তবেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
নাগরিক এই শোক সভায় কেউ সভাপতিত্ব করেননি। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ডক্টর হোসেন জিল্লুর, সুজন চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার , গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত রায় চৌধুরী, বেলার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডক্টর আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রাশেদ আহমেদ তিতুমীর, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণ অধিকার পরিষদের অন্য অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, আব্দুল হক ও মায়ের ডাক-এর সানজিদা ইসলাম প্রমুখ।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অসুস্থ হওয়ায় অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন।