× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অপতথ্য রোধ করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৬ পিএম

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৭ পিএম

অপতথ্য রোধ করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং গঠনমূলক সমালোচনা যেমন একটি গণতন্ত্র, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, একইভাবে তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যখন সমাজ ধ্বংস হবে তখন আমি আপনি কেউই কিন্তু রেহাই পাব না।

তিনি বলেন, তাই আমাদের সম্মিলিতভাবে একটি দায় আছে, কীভাবে আমরা অপতথ্যকে রোধ করতে পারি এবং কীভাবে তথ্যের প্রবাহকে আরও নিশিত করতে পারি। কিন্তু এ তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো কাটাছেঁড়া করতে চাই না।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নজরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্সে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজ ও সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার একটি পরিবেশ বাংলাদেশে তৈরি করতে চাই। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এ দেশ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্তগণমাধ্যম, চমৎকার পরিবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে এবং জাতির উপকারে আসে, সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আরাফাত আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু তথ্য প্রবাহকে অবাধ করতে চাই। সঠিক তথ্য দেওয়ার বিষয়গুলোকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই। সেই সঙ্গে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টকে বাস্তবে আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। আপনারা জানেন, আমাদের দীর্ঘদিনের উপনিবেশিক ইতিহাস আছে যে কারণে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা যুক্ত থাকেন তাদের অনেকে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অনিহা প্রকাশ করে। এটি একটা কালচারাল বিষয়। তো আমাদের শুধু আইন করলেই হবে না, কাজে লাগাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আমরা একটি বার্তা দিয়ে দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টকে আরও সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করা। কেউ যদি তথ্য চায় তবে অবশ্যই তাকে দিতে হবে। কারণ সরকারের বিভিন্ন তথ্য যদি জনগণ চায় তবে সেটা দিতে আমরা বাধ্য। কারণ তথ্য চাইতে গেলে কারোর বিব্রত হওয়ার প্রয়োজন নাই। আমরা তথ্য দিতে চাই।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। এই অপপ্রচার যাতে সুযোগ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনিক বেশ কিছু কাজ আমি করতে যাচ্ছি। যাতে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। আপনারাও তার জনগণের কাছে দিতে পারেন।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে। সেটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনেই পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য সে তহবিলে একটি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এটি ব্যাংকে রাখা হয়েছিল এবং সেটি বাড়তে বাড়তে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো হয়ে গেছে। আমরা প্রতি বছর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আলাদা ৬ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে আসি। সেখান থেকে ২ কোটি টাকা আমি বিতরণ করেছি। কিন্তু সেই তহবিলের টাকায় এখনও হাত দেওয়া হয়নি। সেটি সেভাবেই রয়েছে। সাংবাদিকতা পেশায় যারা আছেন তাদের মধ্যে অনেকে অর্থনৈতিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন অথবা অন্য কোনো সমস্যায় পড়ে যান তাহলে সরকারিভাবে আমরা তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটিই উদ্দেশ্য, সাংবাদিকতা থাকবে, গণমাধ্যম থাকবে, মুক্ত আলোচনা থাকবে, মুক্ত সাংবাদিকতা হবে। সরকার এবং অথরিটি ভুল-ভ্রান্তি থাকলে ব্যর্থতা থাকলে সেগুলোও সমালোচনা হবে। শুধু আমি সরকারের পক্ষ থেকে এটুকু বলতে চাই অসত্য, অপতথ্য ব্যবহার করে কোনো সমালোচনা বা নিন্দা করা হলে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

‘সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ গঠনমূলক সমালোচনা যেমন একটি গণতন্ত্র, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য। একইভাবে তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যখন সমাজ ধ্বংস হবে তখন আমি আপনি কেউই কিন্তু রেহাই পাব না। তাই আমাদের সম্মিলিতভাবে একটি দায় আছে কীভাবে আমরা অপতথ্যকে রোধ করতে পারি। এবং কীভাবে আমরা তথ্যের প্রবাহ কে আরও নিশ্চিত করতে পারি। কিন্তু এ তথ্যের অবাদপ্রবাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কাটাছেঁড়া করতে চাই না,’ যোগ করেন আরাফাত।

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ঠিক রেখে কীভাবে আমরা তথ্যের প্রবাহকে বাড়াতে পারি সেজন্য আমি প্রতিটি স্ট্রাইক হোল্ডার-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। তাদের বুদ্ধি পরামর্শ নিচ্ছি এবং আমারও নিজের কিছু চিন্তা রয়েছে। অন্যান্য দেশের দূতরা যখন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে কথা বলতে আসে তখন আমি তাদের কাছেও জানতে চাই যে কীভাবে তারা এ জিনিসটি করেছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের যারা স্ট্রাইক হোল্ডার আছে তারা সবাই আমাকে একটি কথা বলেছেন যে, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটি শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন। পেশার বাইরে গিয়ে অপসংবাদিকতা করে যারা সাংবাদিকতা পেশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য আমি সাংবাদিকদের প্রতিটি স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করে একটি পদ্ধতি গ্রহণ করতে চাই।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক  মো. মিজানুর রহমান। এ ছাড়াও বর্তমান কমিটির সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা