প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০১ এএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:২৯ পিএম
ঢাকা মহানগরকে আন্দোলনের দূর্গ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ঢাকা মহানগর হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। ঢাকা মহানগরীতে বিএনপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলুন। যাতে বিএনপির জন্য দুর্ভেদ্য হিসেবে শক্তিশালী হয়। এই দুর্গ যেন কেউ ভাঙতে না পারে। সেইভাবে গড়ে তুলতে হবে। এখন সংগঠনের প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোনিবেশন করতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আবারও প্রস্তুত নেওয়ার আহ্বান জানান।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিল পূর্বে সংক্ষপ্তি বক্তব্য মহানগর নেতাকর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
বিগত আন্দোলনে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইফতারের আগে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ৬৪ জন নেতাকর্মীর পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার ভিন্নভাবে একদলীয় শাসন চালু করেছে। দেশের অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা সবকিছু ধ্বংস করা হয়েছে। এককথায় দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। একটি ভয়ঙ্কর দানবের আক্রমণ চলছে আমাদের ওপর। ঢাকা মহানগর বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি অবস্থায়। প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারপরও আমাদের আন্দোলন চলছে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য নষ্ট করা হয়েছে। ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনমত ছাড়াই একটি সরকার ক্ষমতায় আছে; যারা জাতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে।
অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতিবিদদের জন্য জেলখানা সেকেন্ড হোম। আজকে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা জানেন না তারা জীবিত নাকি মৃত। যার কারণে পারিবারিক সমস্যা আরো প্রকট হয়ে ওঠছে। আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চাই। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কারো সাথে আপোস করে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না। সেই আপোসহীন নেত্রী যখন বন্দি, তখন গণতন্ত্রও বন্দি। আজকে অন্যায় না করে জেলে যেতে হয়, খুন হতে হয়। সিপাহিদের হাতে মার খেতে হয়।
মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদিন, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, গুম হওয়া পরিবারের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমের পুত্র আবু সাদাত চৌধুরী ইমন, নিহত পারভেজ হোসেনের মেয়ে রিমি, সাজেদুল হক সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি এবং আনোয়ার হোসেনের মেয়ে রাইসা।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, তাইফুল ইসলাম টিপু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শাম্মী আক্তার, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাজমুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, সাবেক সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহীন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, মহানগর বিএনপির আবদুস সাত্তার, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এজিএম শামসুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, হাজী মনির হোসেন (চেয়ারম্যান), মোশাররফ হোসেন খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি, সাইদুর রহমান মিন্টু, এবিএম রাজ্জাক, আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, নাদিম চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের কয়েকশো নেতাকর্মী।