প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৩ এএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০১ পিএম
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে। প্রবা ফটো
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোজার মাসে দানখয়রাত, জাকাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু না খেয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেছে এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বিশ্বসংকটে তেলের দাম বাড়ে অথচ আমরা সমন্বয় করেছি। সমন্বয় করে কিছু হলেও কমেছে।
দেশের দারিদ্র্য নিয়ে সমালোচনাকারীদের লক্ষ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বড় বড় কথা বলেন, গরিবের নামে মায়াকান্না করেন তাদের উদ্দেশে বলছি—জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের রংপুর কোর্টে গিয়ে পতিতায় নাম লিখিয়েছেন।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদেরের নিরাপত্তা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এ শহরে সন্ধ্যার পর দেখবেন ফাঁকা, তারাবি নামাজের পর সারা রাত ধরে শপিং করে। শপিং করতে গিয়ে গভীর রাতেও কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। তার পরও তারা বিরোধিতার কারণে নিরাপত্তার কথা বলে। তাহলে এত রাতে শপিং করেন কীভাবে? আমরা এসব কথায় কান দেব না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসহায় মানুষের পাশে থাকার রাজনীতি আমরা করি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে এত ভিক্ষুক কেন এসব প্রশ্ন করেন অনেকে। তাদের লজ্জা করে না যে তারা একজন গরিব মানুষকেও কষ্টের দিনে রোজার মাসে সাহায্য করেননি। ইফতার বিতরণ করেননি। তারা বড় বড় হোটেলে ইফতার খেয়েছেন। গরিব মানুষের মাঝে ইফতার দিচ্ছে নেতা ও কর্মীরা। এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আজকের অনুষ্ঠান সে ঐতিহ্যের অংশ।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলেছি তালিকা প্রকাশ করুন। আজ ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনে আছে। মানুষ মারার আসামি, আগুনসন্ত্রাসের আসামি হলে সেটা একটা অপরাধ, তারা জেলে গেলে বিএনপির কেন এত মায়াকান্না, আমি জানি না।’
ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের সভাপতিত্বে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।