প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩১ পিএম
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফুসফুসের পানি অপসারণ করা হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে।
সোমবার (১ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিনই বৈঠক করছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও থাকেন। সিসিইউতেই চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
জাহিদ বলেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই কয়েকটি টেস্ট করা হয়। মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসার ওষুধ দেয়। ম্যাডাম সিসিইউতে আছেন। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থা মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে দুপুরে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সেখানে তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার নানাবিধ বিষয়ে খোঁজ নেন। সেখান থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। শনিবার মধ্যরাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা রাতে গুলশানের বাসভবনে গিয়ে স্বাস্থ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর খালেদা জিয়াকে রাত ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগেও গত বুধবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। এরপর চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন এবং তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তার গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।