প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫০ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৪ পিএম
যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মঈন খান। প্রবা ফটো
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না। কেউ আওয়ামী লীগ করবে, কেউ বিএনপি করবে, কেউ অন্য দল করবে। এভাবেই তো সারা দুনিয়া চলে আসছে। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। এটা সারা দুনিয়া বলছে। তাহলে আমরা এদেশে কীভাবে বাস করব।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারে নির্যাতিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, আমরা আশা করব সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে। মানুষকে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। সরকার মুখে যা বলে বাস্তবে তা প্রমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত তিনটি নির্বাচনের ইতিহাস দেখুন। দেশের ১২ কোটি ভোটার এ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। সরকারকে মানুষের ভোটের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই।
ক্ষমতায় আসতে বিএনপি বিদেশিদের ধরনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের বিষয়ে মঈন খান বলেন, সরকারের অভিযোগ সত্যি নয়। বিএনপি যদি বিদেশিদের ওপর নির্ভর করত তাহলে সারা বছর এসি রুমে বসে সিনেমা দেখত। কিন্তু বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে, সভাসমাবেশ করছে। সারা দেশে পদযাত্রা করেছে। সরকারের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
রবিউল ইসলাম নয়নের পিতা আক্কাস শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আজকে ১৫ বছর ধরে আমার ছেলে বাসায় থাকতে পারে না। ছেলের চেহারা দেখতে পারি না। কোথায় আছে জানি না। রাজনীতি করার কারণে দুবার আমার ছেলেকে গুলি করা হয়েছে। একবার গুলি করার পর মৃত ভেবে নয়নকে মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। নয়নের বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১শর বেশি দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। হাত পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি করাই আমার ছেলের অপরাধ। এ সময় নয়নের শাশুড়ি শিরিনা পারভীন ও স্ত্রী শাম্মাী আক্তার মুগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।